মেসেজিংয়ের অ্যাপ যেসব তথ্য নেয়
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৭
ছবি: আনন্দবাজার।
অ্যাপস্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড করলে বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়। সবচেয়ে বেশি তথ্য নেয় ফেইসবুক কোম্পানির মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর অনলাইন কেনাকাটা থেকে বিজ্ঞাপন ঘাঁটা পর্যন্ত সবকিছুই। যা তারা বিশ্লেষণ করে ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে।
কোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আপনি যদি নতুন ফোন খোঁজেন, তা হলে সেই তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেই তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে ফেইসবুকের কাছে। আর এরপর আপনি যখনই ফেইসবুক খুলছেন, বিজ্ঞাপন হিসেবে ভেসে উঠছে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পাতা, যেখানে দেখা যাচ্ছে রকমারি ফোন।
এখান থেকে আপনি যদি কোনও ফোনের ছবিতে ক্লিক করেন এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়েন, তা হলে তা থেকে মুনাফা পাবে ফেইসবুক। এ ভাবেই ক্রমশ নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং তাদের মূল কোম্পানি ফেইসবুক।
অন্য দিকে, টেলিগ্রাম বা সিগন্যাল এ ধরনের কোনো তথ্যই জানতে চায় না ব্যবহারকারীর থেকে। তাদের চাহিদা ফোন নম্বর এবং ফোনের কন্টাক্ট লিস্টেই সীমিত। এ বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরুর পরেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে অন্য মেসেজিং অ্যাপগুলোর।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ বলছে, ব্যবহারকারীরা আগের থেকে বেশি সতর্ক হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে যাচ্ছেন। গত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অ্যাপটি ছেড়ে সিগনাল বা টেলিগ্রামে যোগ দিয়েছেন! এর মধ্যে ভারত থেকেই আছেন কয়েক লাখ।
মোবাইল অ্যাপের ইনটেলিজেন্স ডেটা বলছে, জানুয়ারির ৭ তারিখে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সামনে আনার পর থেকেই ভারতের অন্তত ১২ লাখ মানুষ সিগনাল ও ১৭ লাখ মানুষ টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৭

অ্যাপস্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড করলে বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়। সবচেয়ে বেশি তথ্য নেয় ফেইসবুক কোম্পানির মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর অনলাইন কেনাকাটা থেকে বিজ্ঞাপন ঘাঁটা পর্যন্ত সবকিছুই। যা তারা বিশ্লেষণ করে ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে।
কোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আপনি যদি নতুন ফোন খোঁজেন, তা হলে সেই তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেই তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে ফেইসবুকের কাছে। আর এরপর আপনি যখনই ফেইসবুক খুলছেন, বিজ্ঞাপন হিসেবে ভেসে উঠছে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পাতা, যেখানে দেখা যাচ্ছে রকমারি ফোন।
এখান থেকে আপনি যদি কোনও ফোনের ছবিতে ক্লিক করেন এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়েন, তা হলে তা থেকে মুনাফা পাবে ফেইসবুক। এ ভাবেই ক্রমশ নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং তাদের মূল কোম্পানি ফেইসবুক।
অন্য দিকে, টেলিগ্রাম বা সিগন্যাল এ ধরনের কোনো তথ্যই জানতে চায় না ব্যবহারকারীর থেকে। তাদের চাহিদা ফোন নম্বর এবং ফোনের কন্টাক্ট লিস্টেই সীমিত। এ বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরুর পরেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে অন্য মেসেজিং অ্যাপগুলোর।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ বলছে, ব্যবহারকারীরা আগের থেকে বেশি সতর্ক হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে যাচ্ছেন। গত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অ্যাপটি ছেড়ে সিগনাল বা টেলিগ্রামে যোগ দিয়েছেন! এর মধ্যে ভারত থেকেই আছেন কয়েক লাখ।
মোবাইল অ্যাপের ইনটেলিজেন্স ডেটা বলছে, জানুয়ারির ৭ তারিখে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সামনে আনার পর থেকেই ভারতের অন্তত ১২ লাখ মানুষ সিগনাল ও ১৭ লাখ মানুষ টেলিগ্রাম অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।