শাওমির ফোনে কোনো সেন্সরশিপ টুলের প্রমাণ পায়নি জার্মান ওয়াচডগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:০৯
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমি তাদের স্মার্টফোনে কোনো ধরনের সেন্সরশিপ আরোপ করে না বলে প্রমাণ পেয়েছে জার্মানির একটি ওয়াচডগ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া শাওমির ফোনে সেন্সরশিপ করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ করে।
অবশ্য অভিযোগ ওঠার সময়ই তা প্রত্যাখ্যান করে চীনা স্মার্টফোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠাটি।
তারা এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, শাওমি তাদের স্মার্টফোনে কোনো ধরনের সেন্সর আরোপ করে না।
লিথুয়ানিয়ার অভিযোগের পর একটি স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানায় দেশটি।
পরে জার্মান ফেডারেল অফিস ফর ইনফরমেশন সিকিউরিটি (বিএসআই) বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব নেয়।
সংবাদমাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার জার্মান ওয়াচডগটি তাদের অনুসন্ধানের ফল প্রকাশ করে।
সেখানে বলা হয়, শাওমি তাদের কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত করছে। তারা সবসময় তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, গ্রাহকদের সুরক্ষার বিষয়টি চীনা প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
লিথুয়ানিয়া যে অভিযোগ এনেছে শাওমির বিরুদ্ধে তা ভিত্তিহীন। তাই জার্মান প্রতিষ্ঠানটি ওই মামলাটি বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করে।
এক বিবৃতিতে গ্রুপটি বলে, আমরা এমন কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাইনি যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়।
লিথুয়ানিয়া অভিযোগ করেছিল, শাওমি তাদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার দিয়ে বেশকিছু বিষয় সে দেশে সেন্সর করে। যার মধ্যে ‘ফ্রি তিব্বত’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন’ বিষয়গুলো ছিল।
এসব কি-ওয়ার্ডগুলো ধরে ধরে দেশটিতে সেন্সরশিপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যা সত্যিই সেন্সরশিপ করা হয়নি বলে প্রতেবেদনে জানায় জার্মান ওয়াচডগটি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:০৯

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমি তাদের স্মার্টফোনে কোনো ধরনের সেন্সরশিপ আরোপ করে না বলে প্রমাণ পেয়েছে জার্মানির একটি ওয়াচডগ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া শাওমির ফোনে সেন্সরশিপ করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ করে।
অবশ্য অভিযোগ ওঠার সময়ই তা প্রত্যাখ্যান করে চীনা স্মার্টফোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠাটি।
তারা এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, শাওমি তাদের স্মার্টফোনে কোনো ধরনের সেন্সর আরোপ করে না।
লিথুয়ানিয়ার অভিযোগের পর একটি স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানায় দেশটি।
পরে জার্মান ফেডারেল অফিস ফর ইনফরমেশন সিকিউরিটি (বিএসআই) বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব নেয়।
সংবাদমাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার জার্মান ওয়াচডগটি তাদের অনুসন্ধানের ফল প্রকাশ করে।
সেখানে বলা হয়, শাওমি তাদের কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত করছে। তারা সবসময় তাদের গ্রাহকদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, গ্রাহকদের সুরক্ষার বিষয়টি চীনা প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
লিথুয়ানিয়া যে অভিযোগ এনেছে শাওমির বিরুদ্ধে তা ভিত্তিহীন। তাই জার্মান প্রতিষ্ঠানটি ওই মামলাটি বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করে।
এক বিবৃতিতে গ্রুপটি বলে, আমরা এমন কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাইনি যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়।
লিথুয়ানিয়া অভিযোগ করেছিল, শাওমি তাদের নির্দিষ্ট সফটওয়্যার দিয়ে বেশকিছু বিষয় সে দেশে সেন্সর করে। যার মধ্যে ‘ফ্রি তিব্বত’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন’ বিষয়গুলো ছিল।
এসব কি-ওয়ার্ডগুলো ধরে ধরে দেশটিতে সেন্সরশিপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। যা সত্যিই সেন্সরশিপ করা হয়নি বলে প্রতেবেদনে জানায় জার্মান ওয়াচডগটি।