ঈদের দিনে পর্যটক শূন্য সুন্দরবন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৩ মে, ২০২২ ১৫:১৭
বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। কিন্তু এবারের ঈদে ভিন্ন রূপ সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর।
ঈদের সকাল থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় মোংলার সুন্দরবন উপকূলের ওপর দিয়ে। এ জন্যই মূলত সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আগাগোনা নেই। এমতাবস্থা সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলসহ বাকি কেন্দ্রগুলোরও।
পর্যটন না থাকায় অনেকটা খাঁ খাঁ অবস্থা বিরাজ করছে।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঈদের দিন মূলত সুন্দরবন দেখতে স্থানীয় পর্যটকেরাই বেশি আসেন। এরপর আসেন বাইরের দূরদূরান্তের পর্যটকেরা। কিন্তু ঈদের দিন সকাল থেকেই হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্থানীয় আশপাশের তেমন কোনো পর্যটকও নেই। দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন ছোট ছোট বাচ্চা এসেছেন। অথচ শুধু ঈদের দিনেই পর্যটক আসার কথা অন্তত হাজারখানেক।
প্রতি বছর শীত মৌসুমের পর বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকে ঠাসা থাকে সুন্দরবন। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন বলে জানালেন তিনি।
জানা গেছে, সুন্দরবনে করমজল, হাড়বাড়ীয়া, হিরণপয়েন্ট, নীল কমল, কটকা-কচিখালী, দুবলাচটসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এসব পর্যটন ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকতো। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো বনপ্রহরীদের। কিন্তু এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।
তবে ভ্রমণে অবস্থাপনা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাগুলো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারছে না বন বিভাগ।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ রয়েছে তাদের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। সুন্দরবনে দর্শনীয় স্পটগুলোকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদেরও এ খাত থেকে বড় ধরণের রাজস্ব আদায় করা যাবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের ১১টি পর্যটন কেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে তো কারও হাত নেই। তারপরও ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কেটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেগুলোর কাজও চলমান রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৩ মে, ২০২২ ১৫:১৭

বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। কিন্তু এবারের ঈদে ভিন্ন রূপ সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর।
ঈদের সকাল থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় মোংলার সুন্দরবন উপকূলের ওপর দিয়ে। এ জন্যই মূলত সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আগাগোনা নেই। এমতাবস্থা সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলসহ বাকি কেন্দ্রগুলোরও।
পর্যটন না থাকায় অনেকটা খাঁ খাঁ অবস্থা বিরাজ করছে।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঈদের দিন মূলত সুন্দরবন দেখতে স্থানীয় পর্যটকেরাই বেশি আসেন। এরপর আসেন বাইরের দূরদূরান্তের পর্যটকেরা। কিন্তু ঈদের দিন সকাল থেকেই হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্থানীয় আশপাশের তেমন কোনো পর্যটকও নেই। দুপুর পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন ছোট ছোট বাচ্চা এসেছেন। অথচ শুধু ঈদের দিনেই পর্যটক আসার কথা অন্তত হাজারখানেক।
প্রতি বছর শীত মৌসুমের পর বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকে ঠাসা থাকে সুন্দরবন। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন বলে জানালেন তিনি।

জানা গেছে, সুন্দরবনে করমজল, হাড়বাড়ীয়া, হিরণপয়েন্ট, নীল কমল, কটকা-কচিখালী, দুবলাচটসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এসব পর্যটন ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকতো। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো বনপ্রহরীদের। কিন্তু এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।
তবে ভ্রমণে অবস্থাপনা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাগুলো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারছে না বন বিভাগ।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ রয়েছে তাদের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। সুন্দরবনে দর্শনীয় স্পটগুলোকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদেরও এ খাত থেকে বড় ধরণের রাজস্ব আদায় করা যাবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের ১১টি পর্যটন কেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে তো কারও হাত নেই। তারপরও ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কেটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেগুলোর কাজও চলমান রয়েছে।