ঈদ ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৫ মে, ২০২২ ১৪:২৫
ঈদের ছুটিতে হঠাৎ ঢল নেমেছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে। ঈদের দিন সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে তেমন লোকজন না এলেও মূলত পরদিন থেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামতে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে এ বনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বনের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে আরও চারটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া আরও বেশি দৃষ্টিনন্দনের কাজ চলছে করমজলসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও।
যদিও এখন সুন্দরবনে ভ্রমণ মৌসুম নয়। তারপরও ঈদের ছুটি কাটাতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিকে স্মরণীয় রাখতে কেউ আসছেন বন্ধু-বান্ধব আর কেউ পরিবারকে নিয়ে। যারাই আসছেন, মুগ্ধ হচ্ছেন বনের সৌন্দর্য দেখে। মন কাড়া এ সৌন্দর্যের বর্ণনা দেওয়া কঠিন বলছেন ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।
মোংলা থেকে নদী পথে সুন্দরবনে প্রবেশে প্রথমে দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে পশুর নদীতে শুশুকের। তারপর বনে প্রবেশের পর নানা ধরনের গাছপালা, পাখির কলকাকলি, হরিণ, বানর, গুইসাপ, বন্য শূকর, শজারুসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে করমজলে। আর বনের গহিনে গেলে দেখা মিলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও। করমজলের আসা পর্যটকদের মন কাড়ছে সেখানকার সৌন্দর্য। যারা প্রথম এসেছেন তাদের কাছে এর সৌন্দর্য বর্ণনারও যেন ভাষা নেই। আর একবার যারা আসছেন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে তারা বারবারই ছুটে আসছেন।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রটি সুন্দরবনের বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। তারপরও এটিতে আরও বেশি দর্শনার্থী আকৃষ্ট করতে সেখানে চলছে নানা ধরণের উন্নয়নমুলক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামোর কাজ। সেই সঙ্গে পর্যটকদের জন্য এ বনের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে আরও চারটি নতুন কেন্দ্র। উন্নত দেশগুলোর পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মত আকর্ষণীয় করে সুন্দরবনের স্পটগুলোকে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।
করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় ওই সময়টাতে পর্যটক কম ছিলো সুন্দরবনে। করোনা বিধিনিষেধ শিথিলের পর গেল শীত মৌসুমে কিছু পর্যটক হলেও ঈদের আগ পর্যন্ত অনেকটা পর্যটক শূন্য ছিলো সুন্দরবন। আর বর্তমান সময়টা ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় এই সময়টা পর্যটক বিহীন থাকবে এ বন। সামনের শীতে আবারও সরব হয়ে উঠবে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। তবে মৌসুম না হলেও ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে এ বনে হঠাৎ আনাগোনা বেড়ে যায় দর্শনার্থীদের।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৫ মে, ২০২২ ১৪:২৫

ঈদের ছুটিতে হঠাৎ ঢল নেমেছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে। ঈদের দিন সকালের ঝড়-বৃষ্টিতে তেমন লোকজন না এলেও মূলত পরদিন থেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামতে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে এ বনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে বনের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে আরও চারটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া আরও বেশি দৃষ্টিনন্দনের কাজ চলছে করমজলসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও।
যদিও এখন সুন্দরবনে ভ্রমণ মৌসুম নয়। তারপরও ঈদের ছুটি কাটাতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে সুন্দরবনে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিকে স্মরণীয় রাখতে কেউ আসছেন বন্ধু-বান্ধব আর কেউ পরিবারকে নিয়ে। যারাই আসছেন, মুগ্ধ হচ্ছেন বনের সৌন্দর্য দেখে। মন কাড়া এ সৌন্দর্যের বর্ণনা দেওয়া কঠিন বলছেন ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।
মোংলা থেকে নদী পথে সুন্দরবনে প্রবেশে প্রথমে দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে পশুর নদীতে শুশুকের। তারপর বনে প্রবেশের পর নানা ধরনের গাছপালা, পাখির কলকাকলি, হরিণ, বানর, গুইসাপ, বন্য শূকর, শজারুসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে করমজলে। আর বনের গহিনে গেলে দেখা মিলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরও। করমজলের আসা পর্যটকদের মন কাড়ছে সেখানকার সৌন্দর্য। যারা প্রথম এসেছেন তাদের কাছে এর সৌন্দর্য বর্ণনারও যেন ভাষা নেই। আর একবার যারা আসছেন সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে তারা বারবারই ছুটে আসছেন।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রটি সুন্দরবনের বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। তারপরও এটিতে আরও বেশি দর্শনার্থী আকৃষ্ট করতে সেখানে চলছে নানা ধরণের উন্নয়নমুলক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও অবকাঠামোর কাজ। সেই সঙ্গে পর্যটকদের জন্য এ বনের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে আরও চারটি নতুন কেন্দ্র। উন্নত দেশগুলোর পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মত আকর্ষণীয় করে সুন্দরবনের স্পটগুলোকে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।

করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় ওই সময়টাতে পর্যটক কম ছিলো সুন্দরবনে। করোনা বিধিনিষেধ শিথিলের পর গেল শীত মৌসুমে কিছু পর্যটক হলেও ঈদের আগ পর্যন্ত অনেকটা পর্যটক শূন্য ছিলো সুন্দরবন। আর বর্তমান সময়টা ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় এই সময়টা পর্যটক বিহীন থাকবে এ বন। সামনের শীতে আবারও সরব হয়ে উঠবে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। তবে মৌসুম না হলেও ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে এ বনে হঠাৎ আনাগোনা বেড়ে যায় দর্শনার্থীদের।