ব্যাকরণ মেনে গান করে পাখি!
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:৪৬
ব্যাকরণ মেনে গান করে জাপানিজ টিট পাখি। ছবি: সংগৃহীত
পাখির কিচিরমিচির কিংবা মিষ্টি সুরের গান শুনতে কার না ভালো লাগে? মধুরতম প্রাকৃতিক সুরের একটি হলো পাখির গান। তবে নিছক গানই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে মানুষের ভাষার নিবিড় সম্পর্ক। জাপানের গবেষকরা পাখির গান আর ব্যাকরণের বাক্য গঠনে খুঁজে পেয়েছেন অপূর্ব মিল।
দ্য গ্রাজুয়েট ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের শিক্ষক তোশিতাকা সুজুকি এবং তার সহকর্মীরা এ গবেষণা করেন। তারা বলেন, মানুষ শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যেভাবে বাক্য তৈরি করে, ছোট্ট পাখি জাপানিজ ‘টিট’ ঠিক সেই বিন্যাস মেনেই গান গাইতে পারে। ব্যাকরণে শব্দের এ বিন্যাসকে বলা হয় সিনটেক্স বা পদক্রম।
সুইডেনের আপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড হুইটক্রফট বলেন, বহু অর্থবোধক সুরের জন্য এ পাখি বেশ পাখি পরিচিত। এর গান কখনো শিকারী সাপের ছোবল, আবার কখনো বাজের শ্যেনদৃষ্টি নির্দেশ করে। বাবা-মা ছানাদের সতর্ক করার জন্যও নানা সুর তৈরি করে; যার অর্থ পালাও অথবা বিপদ আসছে।
গবেষকরা জানান, ‘ওরিয়েন্টাল টিট’ নামেও পরিচিত এ পাখির ডাকে শিকারীর ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে শিকারীকে ভয় দেখানোর চেষ্টাও থাকে। এর সুর নির্দিষ্ট বিন্যাসে সাজালে এমন অর্থই পাওয়া যায়।
তোশিতাকা সুজুকির ভাষ্য, প্রাণিজগতে কেবল মানুষই বাক্য গঠনে পদক্রম মেনে চলে। এখন দেখা যাচ্ছে, বুনো পাখিও এটি ধারণ করে। মানুষ এবং অন্য প্রাণীর ভাষাগত দক্ষতায় এমন অনেক মৌলিক মিল রয়েছে। আর হুইটক্রফট মনে করেন, জাপানিজ ‘টিট’ পাখির ডাক পদক্রমের বিবর্তন অধ্যয়নে নতুন মডেল দিতে পারে। সূত্র: বিবিসি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:৪৬

পাখির কিচিরমিচির কিংবা মিষ্টি সুরের গান শুনতে কার না ভালো লাগে? মধুরতম প্রাকৃতিক সুরের একটি হলো পাখির গান। তবে নিছক গানই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে মানুষের ভাষার নিবিড় সম্পর্ক। জাপানের গবেষকরা পাখির গান আর ব্যাকরণের বাক্য গঠনে খুঁজে পেয়েছেন অপূর্ব মিল।
দ্য গ্রাজুয়েট ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের শিক্ষক তোশিতাকা সুজুকি এবং তার সহকর্মীরা এ গবেষণা করেন। তারা বলেন, মানুষ শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যেভাবে বাক্য তৈরি করে, ছোট্ট পাখি জাপানিজ ‘টিট’ ঠিক সেই বিন্যাস মেনেই গান গাইতে পারে। ব্যাকরণে শব্দের এ বিন্যাসকে বলা হয় সিনটেক্স বা পদক্রম।
সুইডেনের আপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড হুইটক্রফট বলেন, বহু অর্থবোধক সুরের জন্য এ পাখি বেশ পাখি পরিচিত। এর গান কখনো শিকারী সাপের ছোবল, আবার কখনো বাজের শ্যেনদৃষ্টি নির্দেশ করে। বাবা-মা ছানাদের সতর্ক করার জন্যও নানা সুর তৈরি করে; যার অর্থ পালাও অথবা বিপদ আসছে।
গবেষকরা জানান, ‘ওরিয়েন্টাল টিট’ নামেও পরিচিত এ পাখির ডাকে শিকারীর ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে শিকারীকে ভয় দেখানোর চেষ্টাও থাকে। এর সুর নির্দিষ্ট বিন্যাসে সাজালে এমন অর্থই পাওয়া যায়।
তোশিতাকা সুজুকির ভাষ্য, প্রাণিজগতে কেবল মানুষই বাক্য গঠনে পদক্রম মেনে চলে। এখন দেখা যাচ্ছে, বুনো পাখিও এটি ধারণ করে। মানুষ এবং অন্য প্রাণীর ভাষাগত দক্ষতায় এমন অনেক মৌলিক মিল রয়েছে। আর হুইটক্রফট মনে করেন, জাপানিজ ‘টিট’ পাখির ডাক পদক্রমের বিবর্তন অধ্যয়নে নতুন মডেল দিতে পারে। সূত্র: বিবিসি।