এলিকে আর জঙ্গলে ঘাস খেয়ে দিন কাটাতে হবে না
অনলাইন ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৪২
দেখতে অনেকটা ভিন্নরকম হওয়ায় গ্রামের মানুষের কাছে বিদ্রূপের পাত্র হয়ে উঠেছিল ২১ বছর বয়সের এলি। বিদ্রূপের হাত থেকে বাঁচতে জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয় ওই তরুণ।
২১ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের আদর যত্ন থেকেও বঞ্চিত ছিল ওই তরুণ। সে জীবনের অধিকাংশ সময় পশুদের সঙ্গে জঙ্গলে কাটায়। এমনকি খিদে পেলে সে জঙ্গলে ঘাস-লতাপাতা খেয়েই দিন কাটাত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার ওই তরুণের আসলে ‘মাইক্রোসেফালি’ নামে একটি বিরল অসুখের শিকার। এ জন্য মানুষের আদল থাকলেও এলি দেখতে অনেকটা ভিন্নরকম।
সম্প্রতি আফ্রিম্যাক্স নামে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তরুণের মা জানান, তিনিই সঠিকভাবে দেখভাল করতে পারেননি তার সন্তানের।
তিনি বলেন, নিজের প্রথম পাঁচটি সন্তানকে হারানোর পর এলি ছিল তার ছয় নম্বর সন্তান। কিন্তু এলির শরীরে ছিল দৈহিক সমস্যা। মাথা বড় ছিল। দাঁতও বেশ অদ্ভুত ছিল।
তিনি জানান, গ্রামের লোকেরা তাকে তাড়া করত, ঢিল মারত। সেই বিদ্রূপের হাত থেকে বাঁচতে অদ্ভুত মুখভঙ্গি করত এলি।
পরে আফ্রিম্যাক্স টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এলি ও তার মাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।
চ্যানেল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানায়, এই একলা মা ও তার সন্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। কোনও উপার্জন নেই। তাই খাদ্যের অভাবে ভুগছে পরিবারটি। এই তরুণটিকে জঙ্গলে গিয়ে ঘাস খেতে হয় খিদের তাড়নায়। আসুন এই ছেলেটি ও তার মায়ের জীবন বাঁচাই।
তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ডলার অনুদান জমা হয়েছে।
সূত্র: মেট্রো ইউকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৪২
দেখতে অনেকটা ভিন্নরকম হওয়ায় গ্রামের মানুষের কাছে বিদ্রূপের পাত্র হয়ে উঠেছিল ২১ বছর বয়সের এলি। বিদ্রূপের হাত থেকে বাঁচতে জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয় ওই তরুণ।
২১ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের আদর যত্ন থেকেও বঞ্চিত ছিল ওই তরুণ। সে জীবনের অধিকাংশ সময় পশুদের সঙ্গে জঙ্গলে কাটায়। এমনকি খিদে পেলে সে জঙ্গলে ঘাস-লতাপাতা খেয়েই দিন কাটাত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার ওই তরুণের আসলে ‘মাইক্রোসেফালি’ নামে একটি বিরল অসুখের শিকার। এ জন্য মানুষের আদল থাকলেও এলি দেখতে অনেকটা ভিন্নরকম।
সম্প্রতি আফ্রিম্যাক্স নামে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তরুণের মা জানান, তিনিই সঠিকভাবে দেখভাল করতে পারেননি তার সন্তানের।
তিনি বলেন, নিজের প্রথম পাঁচটি সন্তানকে হারানোর পর এলি ছিল তার ছয় নম্বর সন্তান। কিন্তু এলির শরীরে ছিল দৈহিক সমস্যা। মাথা বড় ছিল। দাঁতও বেশ অদ্ভুত ছিল।
তিনি জানান, গ্রামের লোকেরা তাকে তাড়া করত, ঢিল মারত। সেই বিদ্রূপের হাত থেকে বাঁচতে অদ্ভুত মুখভঙ্গি করত এলি।
পরে আফ্রিম্যাক্স টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এলি ও তার মাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।
চ্যানেল কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানায়, এই একলা মা ও তার সন্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। কোনও উপার্জন নেই। তাই খাদ্যের অভাবে ভুগছে পরিবারটি। এই তরুণটিকে জঙ্গলে গিয়ে ঘাস খেতে হয় খিদের তাড়নায়। আসুন এই ছেলেটি ও তার মায়ের জীবন বাঁচাই।
তাদের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ডলার অনুদান জমা হয়েছে।
সূত্র: মেট্রো ইউকে।