বিরল রোগ: বছরে ৩০০ দিনই ঘুমান এই ব্যক্তি
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪৩
ভারতের রাজস্থানের ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিরল একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত। তিনি বছরে ৩০০ দিনই ঘুমিয়ে কাটান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুখরাম নামের ওই ব্যক্তি অ্যাক্সি হাইপারসমোনিয়াতে আক্রান্ত। এক টানা ২০ থেকে ২৫ দিন ঘুমাতে হয় তাকে। মাঝে কিছুক্ষণের জন্য জেগে ওঠেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ বছর আগে পুখরামের রোগটি ধরা পড়ে। এক বার ঘুমিয়ে পড়লে তাকে জাগাতে হিমশিম খেতে হয় পরিবারের।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি এমন এক অদ্ভুত সমস্যা, যাতে ঘুম ভাঙতেই চায় না। দিনের পর দিন মানুষ ঘুমিয়ে কাটান। পুখরামের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ‘কুম্ভকর্ণ’ নামে খ্যাত পুখরামকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই তার পরিবারের মানুষ গোসল করিয়ে দেন, খাইয়ে দেন।
পুখরামের মতো এত মারাত্মক অবস্থা না হলেও ভারতের বড় একটি অংশের মানুষ ‘অ্যাক্সিস হাইপারসমনিয়া’য় আক্রান্ত। এমনই বলছে দেশটির ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (এনসিবিআই)।
ভারতের সমগ্র নাগরিকদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন বলে জানাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট।
পুখরাম ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘ঘুমের কারণে ঠিকমতো দোকান খোলা হয় না। ২০-২৫ দিন পর দোকানে গেলে দেখি অনেকগুলো পত্রিকা জমা হয়েছে। তখন সেখান থেকে সব ঘটনা জেনে নেই।’
পুখরামের পরিবার জানিয়েছে তার চিকিৎসা চলছে। তাদের বিশ্বাস, দ্রুত তিনি সেরে উঠবেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪৩

ভারতের রাজস্থানের ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিরল একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত। তিনি বছরে ৩০০ দিনই ঘুমিয়ে কাটান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুখরাম নামের ওই ব্যক্তি অ্যাক্সি হাইপারসমোনিয়াতে আক্রান্ত। এক টানা ২০ থেকে ২৫ দিন ঘুমাতে হয় তাকে। মাঝে কিছুক্ষণের জন্য জেগে ওঠেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ বছর আগে পুখরামের রোগটি ধরা পড়ে। এক বার ঘুমিয়ে পড়লে তাকে জাগাতে হিমশিম খেতে হয় পরিবারের।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি এমন এক অদ্ভুত সমস্যা, যাতে ঘুম ভাঙতেই চায় না। দিনের পর দিন মানুষ ঘুমিয়ে কাটান। পুখরামের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ‘কুম্ভকর্ণ’ নামে খ্যাত পুখরামকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই তার পরিবারের মানুষ গোসল করিয়ে দেন, খাইয়ে দেন।
পুখরামের মতো এত মারাত্মক অবস্থা না হলেও ভারতের বড় একটি অংশের মানুষ ‘অ্যাক্সিস হাইপারসমনিয়া’য় আক্রান্ত। এমনই বলছে দেশটির ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ (এনসিবিআই)।
ভারতের সমগ্র নাগরিকদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন বলে জানাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট।
পুখরাম ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘ঘুমের কারণে ঠিকমতো দোকান খোলা হয় না। ২০-২৫ দিন পর দোকানে গেলে দেখি অনেকগুলো পত্রিকা জমা হয়েছে। তখন সেখান থেকে সব ঘটনা জেনে নেই।’
পুখরামের পরিবার জানিয়েছে তার চিকিৎসা চলছে। তাদের বিশ্বাস, দ্রুত তিনি সেরে উঠবেন।