ইরাকে গোপন আশ্রয়কেন্দ্রে নারীদের পলাতক জীবন
অনলাইন ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩৬
ইরাকের নারী অধিকার আন্দোলনকারী ইয়ানার মোহাম্মদ। ছবি: বিবিসি।
ইরাকে নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার নারীদের গোপন আশ্রয়কেন্দ্রে পলাতক জীবন পার করতে হচ্ছে। কিন্তু নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি দেশটির সরকারও অসহায় এসব নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে অবৈধ মনে করে।
ইরাকের নারী অধিকার আন্দোলনকারী ইয়ানার মোহাম্মদ বিবিসির এক বিশেষ আয়োজনে দেশটির নারীদের এই নাজুক অবস্থা তুলে ধরেন। ইয়ানার নিজে গত গত ১৫ বছর ধরে সহিংসতার শিকার নারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আসছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে অবশ্যই গোপন রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়, তারা প্রায়ই তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তারা এদের অপহরণ করতে ও হত্যা করতে চায়।
এমনকি দেশটির সরকারের হাত থেকেও এই নারী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে আড়ালে রাখতে হয় পরিচালকদের। ইয়ানার বলেন, “সরকারের হাত থেকেও এদের রক্ষা করতে হবে। সরকারের কাছে এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো অবৈধ।”
বিবিসির বিশেষ আয়োজন ‘১০০ নারী’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক শায়মা খলিল ইরাকী নারীদের গোপন আশ্রয়কেন্দ্র দেখতে গিয়েছিলেন।
আশ্রয়কেন্দ্রের এসব নারীদের মধ্যে অনেককেই পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল। কাউকে নারী পাচারকারী কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। অনেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
বাগদাদে এই ধরনের গোপন নারী আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে চারটি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করেন যেসব নারী, তারা নিজেরাও একসময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৩৬

ইরাকে নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার নারীদের গোপন আশ্রয়কেন্দ্রে পলাতক জীবন পার করতে হচ্ছে। কিন্তু নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি দেশটির সরকারও অসহায় এসব নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে অবৈধ মনে করে।
ইরাকের নারী অধিকার আন্দোলনকারী ইয়ানার মোহাম্মদ বিবিসির এক বিশেষ আয়োজনে দেশটির নারীদের এই নাজুক অবস্থা তুলে ধরেন। ইয়ানার নিজে গত গত ১৫ বছর ধরে সহিংসতার শিকার নারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আসছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে অবশ্যই গোপন রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়, তারা প্রায়ই তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তারা এদের অপহরণ করতে ও হত্যা করতে চায়।
এমনকি দেশটির সরকারের হাত থেকেও এই নারী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে আড়ালে রাখতে হয় পরিচালকদের। ইয়ানার বলেন, “সরকারের হাত থেকেও এদের রক্ষা করতে হবে। সরকারের কাছে এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো অবৈধ।”
বিবিসির বিশেষ আয়োজন ‘১০০ নারী’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক শায়মা খলিল ইরাকী নারীদের গোপন আশ্রয়কেন্দ্র দেখতে গিয়েছিলেন।
আশ্রয়কেন্দ্রের এসব নারীদের মধ্যে অনেককেই পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল। কাউকে নারী পাচারকারী কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। অনেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
বাগদাদে এই ধরনের গোপন নারী আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে চারটি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করেন যেসব নারী, তারা নিজেরাও একসময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন।