বায়ু দূষণে বাড়ছে গর্ভপাত
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৬
বাংলাদেশেও বাড়ছে বায়ু দূষণ। ছবি: সাহাদাত পারভেজ। দেশ রুপান্তর।
বায়ু দূষণের কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। দীর্ঘমেয়াদী তো বটেই, স্বল্প সময়ের বায়ু দূষণের ফলেও এই ঝুঁকি বহাল থাকে।
হাঁপানি থেকে শুরু করে অপরিণত জন্মসহ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক প্রতিকূলতা তৈরির সঙ্গে বাতাসের মানের বিষয়টি জড়িত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের অনুসন্ধানে এই চিত্র উঠে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দূষিত এলাকায় বসবাসের ফলে গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাতের পাশাপাশি মৃত শিশু প্রসবের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। এসব এলাকার দূষিত বায়ু এবং পানির কারণে তার নিজের এবং গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউথাহ প্রদেশের সবচেয়ে দূষণপ্রবণ এলাকায় বাসরত নারীরা সর্ব্বোচ্চ গর্ভপাতের ঝুঁকির (১৬%) মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী থেকে শুরু করে স্বল্পমেয়াদী বায়ৃ দূষণের ক্ষেত্রেও একই রকম ঝুঁকি দেখা গেছে।
"উর্বরতা এবং স্থায়িত্ব" শিরোনামের ওই গবেষণায় ১৩০০ জনের বেশি নারীর ওপর অনুসন্ধান চালানো হয়। যাদের ওপর অনুসন্ধান করে এই গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়, তাদের গড় বয়স ছিল ২৮। এর মধ্যে ককেসীয়ান ৫৪%, হিস্পানিক ৩৮% এবং অন্যান্য ৮%।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীরা গর্ভপাতের পর জরুরি বিভাগের সাহায্য চেয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চালানো অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশের গর্ভকাল ছিলো ২০ সপ্তাহের।
গবেষণায় দেখা গেছে বাতাসে উচ্চ মাত্রায় নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতির ফলে গর্ভাবস্থায় নারীরা সেখানে ১৬% বেশি গর্ভপাতের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪৬

বায়ু দূষণের কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। দীর্ঘমেয়াদী তো বটেই, স্বল্প সময়ের বায়ু দূষণের ফলেও এই ঝুঁকি বহাল থাকে।
হাঁপানি থেকে শুরু করে অপরিণত জন্মসহ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক প্রতিকূলতা তৈরির সঙ্গে বাতাসের মানের বিষয়টি জড়িত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের অনুসন্ধানে এই চিত্র উঠে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দূষিত এলাকায় বসবাসের ফলে গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাতের পাশাপাশি মৃত শিশু প্রসবের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। এসব এলাকার দূষিত বায়ু এবং পানির কারণে তার নিজের এবং গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, ইউথাহ প্রদেশের সবচেয়ে দূষণপ্রবণ এলাকায় বাসরত নারীরা সর্ব্বোচ্চ গর্ভপাতের ঝুঁকির (১৬%) মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী থেকে শুরু করে স্বল্পমেয়াদী বায়ৃ দূষণের ক্ষেত্রেও একই রকম ঝুঁকি দেখা গেছে।
"উর্বরতা এবং স্থায়িত্ব" শিরোনামের ওই গবেষণায় ১৩০০ জনের বেশি নারীর ওপর অনুসন্ধান চালানো হয়। যাদের ওপর অনুসন্ধান করে এই গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়, তাদের গড় বয়স ছিল ২৮। এর মধ্যে ককেসীয়ান ৫৪%, হিস্পানিক ৩৮% এবং অন্যান্য ৮%।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীরা গর্ভপাতের পর জরুরি বিভাগের সাহায্য চেয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চালানো অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশের গর্ভকাল ছিলো ২০ সপ্তাহের।
গবেষণায় দেখা গেছে বাতাসে উচ্চ মাত্রায় নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতির ফলে গর্ভাবস্থায় নারীরা সেখানে ১৬% বেশি গর্ভপাতের ঝুঁকিতে রয়েছেন।