'ব্রেস্ট ইমপ্লান্টে' বিরল ব্লাড ক্যানসার: আদালতে ২৫০ নারী
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০১৯ ১৯:১২
কৃত্রিম উপায়ে নারীর স্তন স্ফীতকরণ বা আকৃতি বড় করাকে সাধারণত ব্রেন্ট ইমপ্লান্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
তবে যারা এ কাজটি করছেন নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছেন। তাদের অনেকেই এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ আতংকে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট বিষয়ক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন প্রায় ২৫০ বৃটিশ নারী। তারা সবাই ওই কোম্পানির ক্লায়েন্ট বা তাদের কাছ থেকে সেবা নিয়েছেন।
এসব নারীর স্তনে ‘অ্যালারগ্যান বায়োসেল’ ইমপ্লান্ট করা হয়েছে। এখন তারা একত্রিত হয়ে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ওই কোম্পানিটিকে দাঁড় করাচ্ছেন কাঠগড়ায়। বৃটেনে স্তন বর্ধিতকরণের ফলে ক্যান্সারের সম্পর্ক বা ঝুঁকির বিষয়টি সামনে আসে ২০১১ সালে।
যে আড়াইশ নারী অ্যালারগ্যান বায়োসেল ইমপ্লান্ট করিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ক্যান্সারের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বৃটেনে এই ইমপ্লান্ট বা স্তন বর্ধিতকরণ পদ্ধতি সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্ত বৃটেনে অ্যালারগ্যান বায়োসেল বিক্রি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোম্পানিটি।
যে ২৫০ নারী ওই মামলা করছেন তাদের মধ্যে ছয়জনের স্তনে অ্যানাপ্লাস্টিক লার্জ সেল লিম্ফোমা (এএলসিএল) নামের রিবল ব্লাড ক্যান্সার বেড়ে উঠছে বলে জানা গেছে। এর সঙ্গে স্তন বর্ধিতকরণের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিচ্ছে যে, যারা স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন তাদের স্তনের ভিতর থেকে থলথলে কৃত্রিম সিলিকার ঝিল্লি তা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ঘটনাটি বৃটেনের ৫ লক্ষাধিক নারীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এসব নারী স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন। মোট নারীর মধ্যে তাদের শতকরা হার ৩ ভাগ।
অসংখ্য নারীর স্তন স্ফীতকরণ অপারেশনে সহায়তা করেছেন জুলি হ্যারিস। এমন কি তিনি নিজেই নিজের স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন। এখন তিনিও ওই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত যে মামলা করা হবে সে বিষয়ে এরই মধ্যে বৃটেনের চ্যানেল ৪ একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করার কথা। তবে অ্যালারগ্যান বায়োসেল ইমপ্লান্টের সঙ্গে কেন ক্যান্সারের যোগসূত্র সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০১৯ ১৯:১২

কৃত্রিম উপায়ে নারীর স্তন স্ফীতকরণ বা আকৃতি বড় করাকে সাধারণত ব্রেন্ট ইমপ্লান্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
তবে যারা এ কাজটি করছেন নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছেন। তাদের অনেকেই এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ আতংকে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট বিষয়ক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন প্রায় ২৫০ বৃটিশ নারী। তারা সবাই ওই কোম্পানির ক্লায়েন্ট বা তাদের কাছ থেকে সেবা নিয়েছেন।
এসব নারীর স্তনে ‘অ্যালারগ্যান বায়োসেল’ ইমপ্লান্ট করা হয়েছে। এখন তারা একত্রিত হয়ে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ওই কোম্পানিটিকে দাঁড় করাচ্ছেন কাঠগড়ায়। বৃটেনে স্তন বর্ধিতকরণের ফলে ক্যান্সারের সম্পর্ক বা ঝুঁকির বিষয়টি সামনে আসে ২০১১ সালে।
যে আড়াইশ নারী অ্যালারগ্যান বায়োসেল ইমপ্লান্ট করিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ক্যান্সারের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বৃটেনে এই ইমপ্লান্ট বা স্তন বর্ধিতকরণ পদ্ধতি সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্ত বৃটেনে অ্যালারগ্যান বায়োসেল বিক্রি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোম্পানিটি।
যে ২৫০ নারী ওই মামলা করছেন তাদের মধ্যে ছয়জনের স্তনে অ্যানাপ্লাস্টিক লার্জ সেল লিম্ফোমা (এএলসিএল) নামের রিবল ব্লাড ক্যান্সার বেড়ে উঠছে বলে জানা গেছে। এর সঙ্গে স্তন বর্ধিতকরণের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিচ্ছে যে, যারা স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন তাদের স্তনের ভিতর থেকে থলথলে কৃত্রিম সিলিকার ঝিল্লি তা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ঘটনাটি বৃটেনের ৫ লক্ষাধিক নারীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এসব নারী স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন। মোট নারীর মধ্যে তাদের শতকরা হার ৩ ভাগ।
অসংখ্য নারীর স্তন স্ফীতকরণ অপারেশনে সহায়তা করেছেন জুলি হ্যারিস। এমন কি তিনি নিজেই নিজের স্তন স্ফীতকরণ করিয়েছেন। এখন তিনিও ওই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত যে মামলা করা হবে সে বিষয়ে এরই মধ্যে বৃটেনের চ্যানেল ৪ একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করার কথা। তবে অ্যালারগ্যান বায়োসেল ইমপ্লান্টের সঙ্গে কেন ক্যান্সারের যোগসূত্র সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।