এক হাজার ১৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বর্তমান ও সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। একই সঙ্গে বিমানের আরও নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন—বিমানের সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক, সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, স্ট্রাকচারের প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহজাহান ও সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন।
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বিমানের সাবেক ফ্লাইট ক্যাপ্টেন (অপারেশন) ইশরাত আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছিল দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে নিজেদের এবং পরে অন্যদের সুবিধা দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। তারা মিসর থেকে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়া এবং পরে সেগুলো ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এই দুর্নীতি করেন। এতে বিমানের এক হাজার ১৬১ কোটি লোকসান হয়।
গতকাল আত্মসমর্পণ করা পাঁচ আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বিচারক একই সঙ্গে বিমানের সাবেক এমডি ও সিইও কেভিন জন স্টিল, সাবেক ফ্লাইট ক্যাপ্টেন (অপারেশন) ইশরাত আহমেদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগপত্রে তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক গত ২০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না মেলায় অভিযোগপত্র থেকে ১৪ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
