চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের আলোচনা যেন তুঙ্গে। গ্রুপ পর্বের শেষ দিনেও সেই বিতর্ক থামেনি। বিশেষ করে, এনামুল হক বিজয়ের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জন নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, বিজয়সহ ১০ ক্রিকেটার বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থার সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তারা বিজয়ের ওপর কোনো ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত নয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি স্পষ্ট করে বলেছে, 'বিসিবি এনামুল হক বিজয়ের ওপর কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো বার্তা পায়নি। আমরা নিশ্চিত করছি, এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।'
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিদায়ী ম্যাচে পুরস্কার দিলেন শাকিব খানবিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে আসা অভিযোগ প্রসঙ্গে বিসিবি জানিয়েছে, তারা আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করছে। বিসিবির মতে, চলমান তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রমাণ ছাড়া কোনো ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করা অনৈতিক।
বিসিবি জানিয়েছে, বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (এসিইউ) ফিক্সিং সংক্রান্ত সকল অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করছে এবং আরও কার্যকর তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করছে।
বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা খেলাধুলার সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিসিবি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিধি কঠোরভাবে মেনে চলে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। তদন্তের স্বার্থে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।'
একই দিনে স্বামী-স্ত্রীর ২৮৭তম জয়বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। একদিকে নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের নাম উঠে আসছে, অন্যদিকে বিসিবি বলছে, এখনই কাউকে অভিযুক্ত করার মতো প্রমাণ তাদের হাতে নেই। ফলে পুরো বিষয়টি এখনও রহস্যময় থেকে যাচ্ছে।
ফিক্সিং বিতর্কের মধ্যেই বিপিএল প্লে-অফের লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এই ইস্যু পুরো আসরের ভাবমূর্তিকে যে বড় ধাক্কা দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার বিষয়, স্বাধীন তদন্ত কমিটি আদৌ কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করতে পারে কিনা।
