এখন থেকে সপ্তাহে একদিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপোর মাধ্যমে টাকা ধার করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক। আগে সপ্তাহে দুইদিন টাকা ধার নিতে পারত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। সোমবার এক সার্কুলার জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কোনো ব্যাংকের তারল্যের প্রয়োজন হলে রেপোর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুধু মঙ্গলবার টাকা নিতে পারবে তারা। আগে সোমবারও এ সুবিধা পেত ব্যাংকগুলো। তবে মঙ্গলবার সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকলে পরের দিন নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া দৈনিক ভিত্তিতে প্রচলিত ‘স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি’ (এসএলএফ) এবং রিভার্স রেপো হিসেবে নতুন নামকরণ করা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) অব্যাহত থাকবে। তারল্যের প্রয়োজনে কোনো ব্যাংক যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করে, তখন সেটির সুদহার ঠিক হয় রেপো বা রিপারচেজ এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে।
আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে (জুলাই থেকে যা পরিচিত এসডিএফ নামে) ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিতে পারে। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি সিকিউরিটিজ কেনাবেচার মাধ্যমে বাজারে টাকার সরবরাহ ঠিক রাখে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বর্তমান মুদ্রানীতি কাঠামো অনুযায়ী সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সপ্তাহে একদিন শুধু মঙ্গলবার এবং এ দিন ছুটি থাকলে পরবর্তী কর্মদিবসে রেপো (০৭ দিন, ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদি) নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন ৫৪ বাংলাদেশিঅপরদিকে সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) সুদহার ১১ শতাংশ এবং নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৮ শতাংশ। বর্তমানে কয়েক দফা বাড়ানোর পর রেপোর সুদহার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো বা নীতি সুদহার বাড়িয়ে থাকে।
