মহাখালীতে ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে এই ঘটনার দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল সোমবার তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ কর্মসূচি চলাকালে রেলপথ এই ব্যারিকেডের আওতায় ছিল। বিষয়টি গত ১৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষকেও এই বিষয়টি আগেই অবগত করা হয়।’
আরও বলা হয়, ‘রেলগেটে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার আগে ওইখানে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো রেল যোগাযোগ করবে না। এমনকি উপকূল এক্সপ্রেস যখন আসছিল তখন ৪-৫ কিলোমিটার দূর থেকেই লাল কাপড় দিয়ে সংকেত দেওয়া হয় রেল থামানোর জন্য। কিন্তু রেল চালক না থামিয়ে বরং এর গতিবেগ বাড়িয়ে দেন। ওই সময় রেল লাইনে ২-৩ হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছিল।’
বিজ্ঞপ্তিতে রেল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে বলা হয়, ‘উপকূল এক্সপ্রেসের এমন খামখেয়ালি আচরণের কারণে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন আহত হয় তখন ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি নুড়িপাথর রেলকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। এর ফলে রেলের ভেতর শিশুসহ কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়। এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রীতকর ঘটনা রেল কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ওই সময় রেল চলাচল করার অনুমতি দেওয়ার জন্যই হয়েছে। তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার কোনোভাবেই রেল কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না।’
তবে বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে আহতের ঘটনার জন্য তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান। তিনি বলেছেন, গতকাল ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। যে পরিবার আহত হয়েছে তার যোগাযোগ করেছি। আমরা সেখানে যাব এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেব।