বগুড়ার শেরপুরে ফুচকা খেতে না নিয়ে যাওয়ায় অভিমান করে সুবর্ণা আক্তার (১৮) নামের এক নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মঘাতি নববধূ নয়াপাড়া এলাকার তারিকুল ইসলামের স্ত্রী ও আরডিএ বগুড়াপাড়ার শরিফ উদ্দিনের মেয়ে।
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিলনিহতের ননদ তুবা খাতুন ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় আমি আর ভাবি ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। ভাবি হঠাৎ ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু, ভাবি ঘরে না আসায় আমি ডাক দিলে কোন সাড়া পাইনি। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখি দরজা লাগানো। আমার চিৎকারে লোকজন বাড়িতে এসে দেখে ভাবি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বারান্দায় ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অপারেশন ডেভিল হান্টকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বানস্বামী তারিকুল জানান, গত ২ মাস আগে সুবর্ণার সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। মাঝে মধ্যেই দুজন এক সঙ্গে ফুচকা খেতে যেতাম। আজ সন্ধ্যায় সুবর্ণাকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সুবর্ণা সেজে বসে ছিল। বাড়িতে বাবা-মা না থাকায় আমি তাকে যেতে নিষেধ করি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চা দোকানে চলে যাই। এরপর আমাকে ছোট বোন তুবা মোবাইলে জানায় সুবর্ণা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
পেঁয়াজ খেতের পাশে পড়েছিল যুবলীগ নেতার মরদেহশেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর ময়নুল ইসলাম জানান, মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্বামী ফুচকা খেতে না নিয়ে যাওয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
