শ্রুতি লেখকের সহায়তায় ভর্তিযুদ্ধে ২য় বার অংশগ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়ার প্রতিবন্ধী ভর্তিচ্ছু আদনান উজ-জামান। আদনানের বাসা কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায়। ওই উপজেলার দক্ষিণ ভবনিপুরের বাসিন্দা আজগড় আলীর ছেলে আদনান।
তিনি ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী ও ভবিষ্যতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের তীব্র ইচ্ছায় দ্বিতীয় বারের মতো ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ।
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে রাসিকের সাবেক মেয়রের এপিএস গ্রেপ্তারজানা যায়, আদনান কুষ্টিয়া হাউজিং এর সবুজ কানন প্রিপারেটরি স্কুল থেকে প্রাথমিক, কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়া দিনমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে ৪.৫৬ জিপিএ নিয়ে মাধ্যমিক এবং ২০২৩ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪.০৮ জিপিএ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
জন্মের পর অন্য দশজন স্বাভাবিক শিশুর মতই ছিল আদনান। হঠাৎ দেড় বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে হাঁটার স্বাদ হারিয়ে ফেলে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও বয়স সাথে সাথে হাটা চলায় সমস্যা বাড়তে থাকে। তবে জীবনের ভার পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মতো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চিকিৎসা চলমান রয়েছে আদনানের।
ভারতের ধ্বংস হওয়া ইসরায়েলি ড্রোনের সংখ্যা বেড়ে ৭৭আদনান পরীক্ষা দিয়েছেন ইবির মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪২০ নম্বর কক্ষে। তার রোল নম্বর ১০৬৯১৪। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছোট বোন আতিকা জিনাত প্রাপ্তি বড় ভাইয়ের সফলতার সঙ্গী হতে শ্রুতিলেখকের দায়িত্ব পালন করেছে।
আদনান জানায়, 'ইবিতে কোনো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পেলে খুবই ভালো হয়। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। ইবিতে সুযোগ ফেলে অনার্স শেষে ঢাবি থেকে মাস্টার্স করবো।'
আদনানের বাবা আজগর আলী জানান, 'আদনান ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনায় খুবই আগ্রহী। তাকে কখনো পড়ার কথা বলতে হয়নি। আজকে সকালে পরীক্ষা দিতে আসার সময়ও তাকে পড়ার টেবিল থেকে ডেকে আনতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদনানের মতো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা একটু অনুপ্রেরণা পেলে সামনে আরো ভালো কিছু করবে। আমি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'
