সুনামগঞ্জের ৩টি উপজেলায় তিন সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও।
তাদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানো, দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারণা, নির্বাচনীবিধি ভঙ্গ করে ভোট প্রার্থনা করা, অনুদান ঘোষণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন এমন কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নির্বাচনী এলাকায় উপজেলা তিনটি। এর মধ্যে জামালগঞ্জ উপজেলায় রতন ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাড. শামীমা শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের পক্ষে সরাসরি প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই উপজেলার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন ছাড়াও সাংসদ রতন ও শামীমা তার কর্মী সমর্থকদের মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি, হুমকি ও প্রলোভন দিচ্ছেন। তিনি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দুই সাংসদকে এ রকম কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার দাবি জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ (জাপার সাংসদ) ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করার অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনীষ কান্তি দে মিন্টু। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই নেতা সরকার কর্তৃক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জনসভা, পথসভা করছেন এবং নির্বাচন সামনে রেখে অনুদানের ঘোষণা দিচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী সফর উদ্দিনের পক্ষ থেকেও সাংসদ পীর মিসবাহ বিরুদ্ধে নৌকায় ভোট চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। তার পক্ষ থেকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছে।