শীত আসলেই আমাদের সোয়েটারের কথা মনে পড়ে। তখন আলমারিতে ভাজ করে রাখা সোয়েটারগুলো বের করি। তবে অন্যান্য পোশাকের তুলনায় সোয়েটারের সংখ্যা থাকে সীমিত। সাধারণত শার্ট, টি শার্ট দিনে ২-৩টা বদল করলেও সোয়েটারের সংখ্যা তো আর অতটা নয়। তাই রইল এক সোয়েটারই ৫ রকমভাবে পরার টিপস।
স্কার্ফ। শীতের সঙ্গী এই জিনিসটি। যেমন একটু বেশি ঠান্ডা লাগলে ব্যবহার করা যায়, তেমনই স্টাইলাইজ করে দেওয়া যায়। যদি সোয়েটারের রং একটি ফিকে হয়, তাহলে ব্রাইট রঙের স্কার্ফ ব্যবহার করুন। জুতোর সঙ্গে ম্যাচ করে স্কার্ফ পরলে দেখবেন একটা এলিগেন্ট লুক আসছে।
অফিস যাওয়া কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে একটু কফি খেতে যাওয়ার হলে শীতকালে একটু সেমি-ফর্মাল লুক নিতে পারেন। সোয়েটারের নিচে ম্যাচিং করা ফুলস্লিভ কলার দেওয়া শার্ট পরবেন। দেখবেন লুক কেমন পাল্টে গিয়েছে। সঙ্গে ফরমাল প্যান্টও পরতে পারেন, আবার জিন্সও ভালো লাগবে।
বয়ফ্রেন্ড জিন্সের ট্রেন্ড কিন্তু ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের ওভারসাইজ জিন্সের সঙ্গে সোয়েটারের কম্বিনেশন ভালো যায়। আপনার সোয়েটার ডিপনেকও হতে পারে, আবার বন্ধগলাও হতে পারে। দুটোই ভালো লাগবে।
শীতকালে টুপি খুবই প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। মাথা-কানকে ঠান্ডা থেকে বাঁচায়, আবার আলাদা স্টাইল স্টেটমেন্টও তৈরি করে দেয়। ড্যাড হ্যাট, বেনিজ, বেসবল ক্যাপ, ট্রাকার হ্যাট কত ধরনের টুপি রয়েছে সোয়েটারের সঙ্গে পরার জন্য। পছন্দমতো বেছে নিন। তার পর দেখতে পাবেন, একই সোয়েটার অথচ আপনার লুক পাল্টে গিয়েছে।
বেশি ঠান্ডা থাকলে সোয়েটারের সঙ্গে ওভারকোট নিয়ে নিতে পারেন। দারুণ মানাবে। কালো সোয়েটারের সঙ্গে যে কোনো রঙের ওভারকোট নেওয়া যায়। তার সঙ্গে টুপিও নিতে পারেন, আবার স্কার্ফ কিংবা মাফলারও ভালো চলে।