বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

৫ সেকেন্ডেই ১৭৮ ফুট নিচে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সেই ফ্লাইট

আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

গত মঙ্গলবার (২১ মে) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনিতে ৭৩ বছর বয়সি এক ব্রিটিশ ব্যক্তি নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন। বিমানটি লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ফ্লাইটটি ৫ (৪.৬) সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭৮ ফুট (৫৪ মিটার) নিচে নেমে যায়। এতে উড়োজাহাজটিতে বেশ ঝাঁকুনি হয়। এ ঘটনায় এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। ঝাঁকুনির ঘটনায় আহত হন প্রায় ৫০ জন। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনের বেশি মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। পরে এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানায়, বিমানটিতে ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রু ছিলেন। বিমান হঠাৎ ঝাঁকুনিতে কাত হয়ে যায় এবং কাঁপতে থাকে। এ সময় যারা সিটবেল্ট না বেঁধে বসেছিলেন তারা বিমানের সিলিংয়ের সাথে ধাক্কা খান। এছাড়া কিছু যাত্রীর মাথা ওপরের ব্যাগেজ কেবিনের সঙ্গে এবং যেখানে লাইট ও মাস্ক থাকে সেখানে গিয়ে ধাক্কা লাগে। 

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জানায়, তারা তদন্তকারীদের সাথে সহযোগিতা করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ও ক্রুদের চিকিৎসা ও হাসপাতালের খরচ প্রদানসহ যাবতীয় সহায়তা করছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইটটি স্বাভাবিকভাবেই ফ্লাই করছিল, তবে মায়ানমারের দক্ষিণের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এটি সম্ভবত ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ৪.৬ সেকেন্ডের মধ্যে ১৭৮ ফুট নিচে নেমে যায়। আর এ কারণেই হয়তো ক্রু এবং যাত্রীরা আঘাত পেয়েছেন। কেবিন ক্রুরা যাত্রীদের আহত হওয়ার বিষয়টি পাইলটদের জানানোর পর ফ্লাইটটি ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

ফ্লাইটে এমন ঝাঁকুনির ঘটনার ১৭ মিনিট পর পাইলটরা ওই ফ্লাইটটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন এবং সেটি স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করান। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত