ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা চারদিন ধরে বিদ্যুৎবঞ্চিত এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। ঝড়ের পর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও তিনি এখনো রয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। আর এ কারণেই ওজোপাডিকো অফিসে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করে দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে বলেন, ‘আপনার ঘুষ খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে রিজাইন দিয়ে চলে যাবেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে এভাবেই তীব্র ক্ষোভ ঝাড়েন এই মুক্তিযোদ্ধা। এদিন দুপুর ১২টার সময় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কক্ষে যান তিনি। এসময় তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান, রেমালের চার দিন পার হলেও এখনও কেন তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পান নি।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলীকে বলেন, ‘আপনার দায়িত্ব কী ঘুষ খাওয়া, ঘুষ খাওয়ার জন্য কী দেশ স্বাধীন করেছি। পরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে প্রকৌশলীকে হুঁশিয়ারি করে চলে যান মুক্তিযোদ্ধা।
তবে ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘ঝড়ে পৌর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছপালা এবং বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যে কারণে শ্রমিক ভাড়া করেও সব স্থানে সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই পুরো কাজ সম্পন্ন করে সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর আওতায় ২৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে মধ্যে রেমেলের ৭২ ঘন্টা পর বুধবার রাতে জেলা শহরে অর্ধেক সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পায়।