জিম্মি উদ্ধারের নামে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারের এই হামলায় অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে চার জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
শনিবার রাফাহসহ মধ্য ও উত্তর গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে আকাশ, স্থল ও নৌপথে চালানো ওই যৌথ অভিযানে ২১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে বিমান, স্থল ও সমুদ্রপথে তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বিশেষ করে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও নুসিরাত শরণার্থী শিবির, দক্ষিণের রাফা শহর এবং উত্তরের গাজা সিটির একাধিক এলাকায় এই হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরায়েলি হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বহু আহত মানুষকে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
এর আগে গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের হাতে বন্দি চার ইসরায়েলি জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই চার ইসরায়েলিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কেন্দ্রস্থলের দুটি আলাদা স্থান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া চার ইসরায়েলি বন্দি হলেন- নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মীর জান (২১), আন্দ্রে কোজলভ (২৭) এবং শ্লোমি জিভ (৪০)। এই চারজনকেই গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময় দক্ষিণ ইসরায়েলের সংগীত উৎসব থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন হামাস যোদ্ধারা।
এদিকে এই হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের মিশন সম্পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং সমস্ত জিম্মি জীবিত অথবা মৃত সবাইকেই উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমরা হাল ছেড়ে দেব না।