বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

কানাডা-মেক্সিকোতে শুল্ক আরোপ স্থগিত, চীনেরটা বহাল রাখলেন ট্রাম্প

আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ এএম

কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। খবর রয়টার্স।

কানাডা ও মেক্সিকোর অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর শুল্ক আরোপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, অবৈধ মাদক যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে মেক্সিকোকে শর্ত দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই শর্ত অনুযায়ী সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করবে মেক্সিকো। এই শর্তে তাদের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে কানাডা। এতে নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে সোমবার দুই দফায় কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোন আলাপ করে শুল্কারোপ স্থগিত করেন তিনি।

এছাড়া শুল্ক ইস্যু ছাড়াও ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করবেন। পাশাপাশি ফেন্টানাইল (মাদক) চোরাচালান ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমেরিকাকে সহায়তা করবে।

শুল্ক আরোপ স্থগিতের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে সব মার্কিন নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও আমি ঠিক সেটাই করছি। প্রাথমিক ফলাফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট।

তবে চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পদক্ষেপে চীন ভীষণ অসন্তুষ্ট। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মনীতির গুরুতর লঙ্ঘন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত