মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বেনাপোল বন্দরে দ্বিতীয় দিনেও ধর্মঘট, বন্ধ ফল আমদানি

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

তাজা ফল আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে দ্বিতীয় দিনেও চলছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়ছে ফলের দাম। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের লোকসান হচ্ছে।
 
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন প্রকারের তাজা ফল আমদানি হয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ফল আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে ।

ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান জানান, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে তাজা ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। 

ফল বিক্রেতা সাহেব আলী জানান, রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে ফলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। আমদানি খরচ বাড়ায় খোলা বাজারে ফলের দামও বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রত্যাহার করা উচিত।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান,  গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির উপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। সম্পূরক শুল্ক  প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্ট সময়ের ধর্মঘট চলছে।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায়  ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজও ভারত থেকে কোনো ফলের  ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত