ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, হাইকমিশনার এখানে না থাকায় আমরা ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করতে বলেছি এবং তার কাছে আমাদের প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা এর আগে শেখ হাসিনাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল, কিন্তু আমরা কোনও সাড়া পাইনি। আজ আবারও ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধের মাধ্যমে তাদের আপত্তি জানিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এতে তরুণ প্রজন্মের অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বলে ইঙ্গিত করেন।
শেখ হাসিনা যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন তা নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতি বাংলাদেশ আহ্বান অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে হোসেন বলেন, ‘ভারত কী পদক্ষেপ নেয় তা আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’
ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পূর্ববর্তী চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, হোসেন মন্তব্য করেন যে আদানির সঙ্গে চুক্তি বাংলাদেশের সর্বোত্তম স্বার্থে ছিল না।
হাসিনার কার্যকলাপ সম্পর্কে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত দাবি করেছে তারা তাকে অনলাইনে বক্তৃতা দেওয়ার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে না।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কভারেজের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগসহ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছি আমরা। তবে, আমরা এটিকে জনসাধারণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করি।
এ সময় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।