ঢাকার সাভার-আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আশুলিয়ার বাইপাইল বুড়ির বাজার এলাকা থেকে রাজু আহম্মেদ (২৫) এবং শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লা থেকে মোমিনুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বাইপাইল বুড়ির বাজার এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা মো. রাজু আহম্মেদকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজু আহম্মেদ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা উত্তরের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক এবং আশুলিয়া থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ভাদাইল গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে।
তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রত্যক্ষভাবে একাধিক হত্যার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার একাধিক ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসব ভিডিওর কোথাও হেলমেট পরিহিত দেশীয় অস্ত্রসহ আবার কোথাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা আক্রমণের ফুটেজ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে শহীদ পরিবারের করা হত্যা মামলায় শুক্রবার রাতে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মোমিনুল ইসলাম রাজু ওরফে জোড়া ধর্ষক রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, জোড়া ধর্ষক রাজু আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ধামসোনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন এই জোড়া ধর্ষণকারী রাজু।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মোমেনুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে দুটি ধর্ষণ, মাদক ও ছাত্র হত্যার একটি মামলা রয়েছে। তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।