বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় সুরক্ষিত সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সাবেক ও বর্তমান ২৫ কর্মকর্তার লকার বা সেফ ডিপোজিটের কিছুই পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় লকারের রেজিস্টার খাতা তল্লাশি শেষে এ তথ্য জানান দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান।
কাজী মোহাম্মদ সায়েমুজ্জামান বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযুক্ত সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছি। তবে ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লকারের রেজিস্টার পরীক্ষা করে তাদের লকার সুবিধা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দুদকের কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশক্রমে অন্য কর্মকর্তাদেরও সুবিধা আছে কি না সেটি দেখা হবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে বা প্রমাণ পাওয়া গেলে যত প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আদালতের নির্দেশনাক্রমে দুদকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারের রেজিস্টার দেখেছিল। রেজিস্টার যাচাই-বাছাই করে এই ২৫ কর্মকর্তার কোনো লকার সুবিধা পাননি। এ কারণে কোনো লকার আজ খোলা হয়নি। ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য কোনো ব্যক্তির লকার খোলার আদেশ পাওয়া গেলে খুলে দেখা হবে।
এর আগে, দুপুর সাড় ১২টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছায় দুদকের আট সদস্যের একটি দল। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খুলতে যান তারা।