বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দীর্ঘদিন আমরা ভোট দিতে পারি নাই। নতুন ভোটাররা জীবনে একবারও ভোট দেয়নি তারা সবাই ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। জনগণ একবেলা না খেয়ে থাকতে রাজি কিন্তু তারা ভোট দিতে চায়। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। তাই অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে জন্য সংস্কার সংস্কার বলে সময় ক্ষেপন করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের বর্তমান সরকারকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনের জন্যই দেশের ১৮ কোটি মানুষ ম্যান্ডেট দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের তরুণ-যুবকদের আমরা বয়স দিয়ে নয়, তাদের নতুন চিন্তাধারার প্রতিফলন দিয়ে বিবেচনা করবো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে তরুণ প্রজন্মের যে প্রতিনিধিরা আছেন, তারা যদি নতুন চিন্তার নতুন যোগ্যতা বা ফসল দেখাতে না পারেন তাহলে জাতি হতাশ হয়ে পড়বে।
মঈন খান বলেন, সরকার দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। রমজান এলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়লে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠবে।
তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমান প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্বাদের দমনে সরকার ব্যর্থ। এ বিষয়ে সরকারের নতুন করে ভেবে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈারাচারী সরকারের শাসনামলে তাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে লক্ষাধিক মামলায় আমাদের ৫০ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে ২০২২-২৩ সালে সরকারের হামলা-মামলা উপেক্ষা করে সারাদেশে আমরা সমাবেশ করেছি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি ও সমমনা সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ ছাত্র-জনতার সাথে একাত্ম হয়ে আন্দোলন করেছে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল সঞ্চালনায় জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, স্থায়ী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।