মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

এই দিনে

১০ মার্চ

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের জন্ম ভারতের বিহারে ১৯০৯ সালে। তার পরিবারের আদি নিবাস বাংলাদেশের বিক্রমপুরে। হাজারীবাগের সেইন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন। কর্মজীবন শুরু করেন বিহারের আদিবাসী অঞ্চলে বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে। বহু পথ ঘুরে ৩০ দশকের শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় বিভাগে সহকারী হিসেবে চাকরি নেন। এক সময় বিশিষ্ট দার্শনিক ও গবেষক মহেশ ঘোষের লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। প্রতœতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, এমনকি সামরিক বিদ্যায়ও তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল। তার লেখালেখির কালপর্ব ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ সাল। তিনি একটু বেশি বয়সে সাহিত্যাঙ্গনে যোগদান করেও নিজস্ব মেধা, মনন আর লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে তার রচনা সম্ভারের মাধ্যমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন। তার ‘অযান্ত্রিক’ এবং ‘ফসিল’ গল্প বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী সৃষ্টি। ভাষার ওপর অনায়াস দক্ষতার প্রমাণ মেলে তার বিভিন্ন গল্পে। মহাভারতের গল্পগুলো বলার জন্য তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তার সঙ্গে অযান্ত্রিক বা ফসিল গল্পে ব্যবহৃত ভাষার কোনো মিল নেই। শুধু গল্পকার হিসেবেই নন, উপন্যাস রচনায়ও ঋদ্ধতার প্রমাণ রেখেছেন। ‘তিলাঞ্জলি’ তার অন্যতম উপন্যাস। ১৯৪৪ সালে গড়া কংগ্রেস সাহিত্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। আনন্দ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদকসহ নানা পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৮০ সালের ১০ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত