রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নবজাতকের কোলিক বা কান্না

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৫ এএম

নবজাতক শিশু অত্যধিক কান্না করার সমস্যাকে বলে কোলিক। ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে ছয় মাস বয়সের শিশুদের প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে সপ্তাহে তিন দিন যদি পেটে কষ্টকর ব্যথা হয় তাহলে তাকে নবজাতকের কোলিক বা ইনফেন্টাইল কোলিক বলা হয়। শুরুটা ছয় সপ্তাহ বলা হলেও কখনো কখনো দুই সপ্তাহ বয়সেই শিশুদের এ রকম প্রচন্ড কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।

কারণ : নবজাতকের কোলিকের কারণ পুরোপুরি জানা যায়নি। গবেষণায় যে কারণগুলো জানা গেছে তাহলো

দুধের উপাদানের ল্যাক্টোজ অংশটুকু শিশু যদি হজম করতে না পারে তাহলে তার পেটে গ্যাস জমে এবং অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে পেট ফেঁপে ব্যথা হয়।

অন্ত্রের কিছু হরমোন অস্বাভাবিক পরিমাণে থাকলেও শিশুটির পেটে ব্যথা হতে পারে।

কখনো খাদ্য থলি থেকে কিছুটা খাবার খাদ্যনালির দিকে চলে আসে যেটাকে গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বলা হয়, এর ফলে শিশুর পেটে ব্যথা এবং কান্না করে।

সঠিক নিয়মে বুকের দুধ না খাওয়ানো বা বোতলে খাওয়ানোর ফলে শিশুর পেটে অতিরিক্ত বাতাস গিয়ে পেটে ব্যথা হতে পারে।

ফরমুলা দুধ হজম করতে না পারলেও শিশুর পেট ব্যথা হয়।

এ রকম কান্না করলে শিশুর কানে বা অন্য কোথাও জীবাণু সংক্রমণ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত।

লক্ষণ : নবজাতকের কান্না সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে দেখা যায়, কখনো কখনো অন্য সময়ও শিশু কান্না করতে পারে। শিশু যখন চিৎকার শুরু করে তখন খুব অস্থির হয়ে যায়, মুখ লাল হয়ে যায়, কখনো চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে, শিশু কখনো কখনো এত চিৎকার করে যে, শ্বাস বন্ধ করে রাখে। হাঁটু ভাঁজ করে পেটের দিকে রাখে, চোখ-মুখ কুঁচকে রাখে এবং হাত মুঠি করে থাকে।

চিকিৎসা : প্রথম প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা হচ্ছে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দুধ গেলার সময় বাচ্চা যেন বাতাস না গিলে ফেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দুধ খাওয়ানোর পর শিশুকে কাঁধে তুলে ঢেঁকুর উঠাতে হবে। ব্যথা হলে শিশুর পেটে গরম সেঁক দিলে অনেক সময় ব্যথা কমে যায়। শিশুকে কোলে নিয়ে খোলা জায়গায় ধীরে ধীরে হাঁটলে অনেক সময় কান্না কমে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সাপোজিটরি দিয়ে শিশুকে পায়খানা করাতে হবে। বাবা-মাকে বলি, শিশুর জন্য কষ্টকর হলেও কোলিক ক্ষতিকর কোনো অসুখ নয় এবং ৩-৪ মাস বয়স হতে সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত