মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে আইনি নোটিশ

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:১২ পিএম

মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন, পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের সব ভিডিও ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বলা আছে, (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হয়েছে এরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তদ্‌সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। (২) উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হলে ওই লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। কিন্তু আইনে স্পষ্ট বিধান সত্ত্বেও স্পর্শকাতর এই ঘটনায় মাগুররা ভিকটিম শিশুর ছবি, ভিডিও ও তার পরিচয় শনাক্তকরণের তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশকিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা নিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত