অতিরিক্ত ওজন এখন অনেকের কাছেই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে ওজন কমানো যায়, এর জন্য রয়েছে নানা পদ্ধতি ও ডায়েট। ওজন কমানোর এমনই এক কৌশল ৪-১-১। এটি হলো ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস এবং ক্যালরিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পদ্ধতি।
৪-১-১ পদ্ধতি হলো খাওয়ার সময় ৪ ভাগ প্রোটিন, ১ ভাগ কার্বোহাইড্রেট এবং ১ ভাগ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রোটিন পেশি গঠনে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস। নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি মেদ কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভূমিকাও অনেক। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখা, হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা এবং শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেয় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই পদ্ধতিতে চার দিন কড়া ডায়েট মানতে হবে। এক দিন খাবারের তালিকায় থাকবে একটু বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আর একটি দিন থাকবে দু’রকম ডায়েট।
৪ দিন : চার দিনের ডায়েটের খাবার তালিকায় থাকবে কম ক্যালরি এবং কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর মাছ, মাংস, ডিম, ডাল জাতীয় স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। প্রোটিন পেট ভরাতে এবং মেদ ঝরাতেও কাজ করবে। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে স্বল্প পরিমাণে ‘কমপ্লেক্স কার্বোইাইড্রেট’। বাদ দিতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার, চিনি। একই সঙ্গে খাবারের মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকাও জরুরি।
এক দিন থাকবে সবকিছু খাওয়ার জন্য : চার দিন অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পর এই দিনে সচেতনভাবেই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রোটিন বেশি এবং স্বল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন কমবে ঠিকই, তবে শরীরে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিপাকহার ঠিক রাখতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, কাজকর্মের জন্য শক্তি জোগাতে কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। শরীর যাতে কার্বোইড্রেটের পরিমাণ ঠিক করে নিতে পারে, সে কারণেই এই নিয়ম।
এক দিন সামঞ্জস্য রক্ষায় : ৪ দিন কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পর হঠাৎ করে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের পক্ষে তা মানিয়ে নেওয়া কঠিন হতে পারে। সে কারণে মাঝের দিনটি
থাকবে সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য। এই দিন কার্বোহাইড্রেট এবং খাবারে ক্যালরির পরিমাণ থাকবে মাঝামাঝি।