ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গতকাল বুধবার গাজার কেন্দ্রীয় এবং দক্ষিণাঞ্চলে পুনরায় স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে এক দিনের বিমান হামলায় অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা। খবর: রয়টার্স
একদিন আগেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় এই অভিযানটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে, যা অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের অভিযান গাজার নেযারিম করিডোরে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবং একটি অংশিক বাফার অঞ্চল তৈরি করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে। তবে হামাস এই অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং এটিকে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, গতকাল জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা সিটিতে একটি জাতিসংঘ ভবনে হামলায় এক বিদেশি কর্মী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই হামলাটি হামাসের অবস্থানে চালানো হয়েছে, তবে জাতিসংঘ এটি ইসরায়েলের হামলা বলে জানিয়েছে।
গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, একাধিক বিমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুন শহরে একটি বাড়িতে হামলায় ৪ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।
গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে খাদ্য, জ্বালানি ও পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, এবং মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করার জন্য চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।