বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ এএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচির খোঁজখবর নিতে ক্যাম্পাসে গিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছান এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

অন্যদিকে, কুয়েটের উদ্ভূত সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠন করেছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। আজ দুপুরে তারা কুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার টেলিফোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ড. আবরার। অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে অনশন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একইসাথে তিনি আশ্বস্ত করেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং সমাধানে কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, কুয়েটে চলমান উত্তেজনার সূত্রপাত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা থেকে। এতে অনেকে আহত হন। পরে, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করে। 

কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে সহিংসতার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে ঘোষণা করা হয়, শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে।

তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল তারা একে একে হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

এই ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২১ এপ্রিল বিকেলে ৩২ জন শিক্ষার্থী স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে অনশন শুরু করেন। এর আগে ২০ এপ্রিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা এক দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত