রাজধানীর আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে ঘটে যাওয়া আগুনের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন, যার মধ্যে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তোফাজ্জল হোসেন (৩৫)। আগের দিন তার স্ত্রী মানসুরা ও চার বছর বয়সী মেয়ে তানজিলা আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। এছাড়া তোফাজ্জলের দুই মেয়ে, তানিশা ও মিথিলা, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তোফাজ্জলের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল, সেখানে ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়। তাঁর দুই কন্যা তানিশা ৩০ শতাংশ ও মিথিলা ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে, যখন আফতাবনগরের ওই এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন তোফাজ্জল, তার স্ত্রী মানসুরা এবং তিন মেয়ে—তানিশা, মিথিলা ও তানজিলা।
তোফাজ্জলের মেয়ের জামাই মো. রিপন জানান, বাড়িটির পাশে একটি ভবন নির্মাণাধীন ছিল, যেখানে খোঁড়াখুঁড়ির সময় গ্যাস লাইনে লিকেজ হয়। এই বিষয়টি সকালে বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাতের দিকে যখন বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালানো হচ্ছিল, তখনই বিস্ফোরণ ঘটে এবং পাঁচজন দগ্ধ হন।
তোফাজ্জল একজন দিনমজুর এবং চার কন্যার জনক। এই দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ছোট তিন মেয়েই দগ্ধ হয়েছে। ভাগ্যক্রমে বড় মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকার কারণে আগুন থেকে বেঁচে গেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর।