ইরানে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। তবে শিগগিরই এ সংঘাতের অবসান ঘটাতে চায় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের।
এদিকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের ফোরদো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় “মারাত্মক ক্ষতি” হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল যে ইরানীয় লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ফোরদো পরমাণু স্থাপনার প্রবেশপথ ও কারাগার। এখানে রাজনৈতিক বন্দি ও সরকারবিরোধীরা আটক আছে।
তেহরান এখনো যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব কীভাবে দেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি। ইরানের ধর্মীয় নেতা বর্তমানে সংকটময় সিদ্ধান্তের মুখোমুখি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালালে সামরিকভাবে শক্তিশালী দুই শত্রুর সঙ্গে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির মতো সার্বভৌমত্বের মূল দুই নীতিতে ছাড় দিয়ে পুনরায় পরমাণু আলোচনায় ফিরে যাওয়ার চাপ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ী প্রথমবারের মতো এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে মন্তব্য করেন। তিনি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ না করে ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, ইসরায়েল একটি ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে এবং তার ফল ভোগ করছে।
এদিকে ইউরোপের নেতারা ইরানকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দেশটি এমন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখায় যা পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলে। অপরদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শর্তেই সমঝোতার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রবিবার এক বক্তব্যে তিনি ইরানে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করেননি।