বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

গিলের দানবীয় ইনিংসে কোণঠাসা ইংল্যান্ড, রক্ষা পাবে কি ‘বাজবল’ জাদু?

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৮ এএম

এজবাস্টনে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছে, যেখান থেকে ইংল্যান্ডের জন্য পরিত্রাণ প্রায় অলৌকিক কিছু ছাড়া সম্ভব নয়। শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৫৩৬ রান—যা ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডের চেয়েও প্রায় ২০০ বেশি।

গত তিন বছরে বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বে ইংলিশ টেস্ট দলের যে ‘বাজবল’ ভাবধারা তৈরি হয়েছে, সেখানে ড্র শব্দটাই প্রায় বিলুপ্ত। ৩৭ ম্যাচে মাত্র একটি ড্র—সেটিও বৃষ্টিবিঘ্নিত অ্যাশেজ টেস্ট। কিন্তু এবার সেই ‘নো ড্র’ দর্শনের বিপরীতে গিয়ে ম্যাচ বাঁচানোই হতে পারে তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

 

৪র্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৭২/৩। বিশাল ৬০৮ রানের লক্ষ্যে

তারা এখনো পিছিয়ে ৫৩৬ রানে। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট ও ৯০ ওভার—এক অলৌকিক অভিযানের অপেক্ষায় দলটি।

ভারতের ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল কিছুটা বিতর্কিত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৭/৬ স্কোরে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি, যদিও অনেকেই আশা করছিলেন তারা আগেই ঘোষণা দেবে। অধিনায়ক শুভমান গিলের অনবদ্য শতকে (১৬১*) ভর করেই এই বিশাল রান তোলে ভারত।

গিলের এই ইনিংস যোগ হলে ম্যাচে তার মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩০ রান—টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। চার ইনিংসে সিরিজে তার রান এখন ৫৮৫!

ইংল্যান্ডের ভয়হীন চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং আগে থেকেই ভারতের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। ২০২২ সালে এজবাস্টনে তারা ৩৭৮ রান তাড়া করে জিতেছিল, আর এই সিরিজের আগের ম্যাচেই হেডিংলিতে ৩৭১ রান তুলে নেয়। তাই হয়তো একটু বাড়তি নিশ্চিততা চেয়েই দেরিতে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

তবে দেরিতে ঘোষণার সমালোচনার জবাব দেন বোলাররা। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানে তারা। জ্যাক ক্রলিকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ, ইংল্যান্ডের ইনিংসে এটি ছিল সপ্তম ‘ডাক’। বেন ডাকেট করেন ঝড়ো ২৫ রান, তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনিও।

শেষ দিনে ভারতের দরকার আরও মাত্র ৭ উইকেট। এই জয় যদি আসে, তাহলে এটি হবে শুভমান গিলের নেতৃত্বে ভারতের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্ত। আর ইংল্যান্ডের সামনে এখন একটাই প্রশ্ন—'বাজবল' কি অলৌকিক কিছু ঘটাতে পারবে, নাকি বাস্তবতাই জিতে যাবে?

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত