সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

‘বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ’ করায় ছুরিকাঘাতে খুন

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম

রাজধানীতে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্যামপুরের জুরাইনে শনিবার রাতে ছুরিকাঘাতের শিকার শেখ ইসলাম পাভেল (২৩) রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।

রোববার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের স্বজনরা জানান, তারা শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন।

জানা গেছে, পাভেল জুরাইন ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগকর্মী। তার বন্ধুরা জানান, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য সানজিদা খানমের অনুসারী ছিলেন।

শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, শনিবার রাতে জুরাইনের শেখ কামাল স্কুলের বিপরীত পাশের রাস্তায় বখাটেরা পাভেলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করে।

তিনি আরো জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাভেলের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের নাম-পরিচয় জানিয়েছেন।

শ্যামপুর থানা পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাভেলের কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় মাসুম, তুহিন ওরফে বাঘা তুহিন, রাব্বী, ইরফানসহ কয়েকজন।

নিহতের চাচা সবুজ শিকদার দেশ রূপান্তরকে জানান, পাভেলদের ভাড়া বাড়ির বিপরীত ভবনে থাকে মাসুমের ফুফু। ওই বাড়ি থেকে প্রায়ই সন্ধ্যার পর মাসুম টর্চ, লেজার লাইটের আলো দিয়ে পাভেলের বোনকে বিরক্ত করত। কলেজে যাতায়াতের পথেও উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা।

পাভেলের খালু হারুন দেশ রূপান্তরকে জানান, বেশ কয়েকবার মাসুম ও তুহিনের পরিবারের কাছে নালিশ দিলেও প্রতিবার তারা মাফ চায়।

নিহতের বন্ধু রবিন ও হিমু জানান, সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে মাসুম ও তুহিন পাভেলের বোনকে বিরক্ত করে। শনিবার সন্ধ্যার পর দনিয়া কলেজের বিপরীত পাশের রাস্তায় মাসুমকে দেখতে পেয়ে পাভেল বোনকে বিরক্ত করার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পাভেল মাসুমকে চড় মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মাসুম পাঁচ সহযোগী নিয়ে শেখ কামাল স্কুলের পাশে পাভেলকে ঘিরে ধরে। দু’জন পাভেলের দুই হাত চেপে ধরে রাখে। মাসুমসহ বাকিরা পাভেলের গলায়, হাতে, বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। উদ্ধারকারীরা জানান, পাভেলের গাল ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত