এ সময় প্রকৃতিটার একটু ভিন্ন রূপ থাকে। আবহাওয়াটা একটু অন্য রকম মনে হয়। হলুদ, কমলা ইত্যাদি নানা রঙের ফুলে ছেয়ে থাকে চারপাশটা। তাই আমাদের পোশাকে এই রংগুলোর প্রাধান্য বেশি থাকে। আমরা এবারও এই রংগুলো নিয়েই বেশি কাজ করেছি। পহেলা ফাল্গুনে শাড়ি এবং পাঞ্জাবির ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল থাকেন অনেকে। তাই এবার মেয়েদের জন্য শাড়ি থাকছে। থাকছে সালোয়ার-কামিজ, বিভিন্ন ধরনের টপস। ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি ও ফতুয়া। এমনকি শিশু-কিশোরদের জন্য এসব পোশাক থাকছে। এসব পোশাকে আমরা ফ্লোরাল মোটিফগুলো বেশি ব্যবহার করেছি। ছেলেরা যেহেতু একটু জেনেটিক মোটিফটা বেশি পছন্দ করে কিন্তু বসন্তের সময় আমরা সেটাকে বাদ দিয়ে ফ্লোরাল মোটিফ ব্যবহার করেছি। ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি এই মাধ্যমগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। যেহেতু এটি গরমের উৎসব, সেহেতু আমরা অনুষ্ঠানটাকে আরও বেশি আরামদায়ক করার জন্য সুতি কাপড়টাকে প্রধান্য দিয়েছি। গতবার কামিজগুলো যেমন একছাঁট ছিল, এবারও তাই আছে। পরিবর্তন এসেছে মোটিফে, প্যাটার্নে, সিøভ ডিজাইন এবং নেক ডিজাইনে। মেয়েদের টপসে বিভিন্ন ধরনের সিøভ করা হয়েছে। কামিজের ঘেরগুলোতে এবং বিভিন্ন ধরনের কুঁচিতেও পরিবর্তন আছে।