দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭১৮ টি অনার্স কলেজের মধ্যে অনুষ্ঠিত র্যাঙ্কিংয়ে জাতীয় পর্যায়ে ৫ টি সর্ব সেরাসহ মোট ৮৯ টি কলেজকে সেরা কলেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম ৫ টি সেরা কলেজের মধ্যে ৭২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম হয়েছে রাজশাহী কলেজ, ৬৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট পেয় বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ দ্বিতীয়, ৬৬ দশমিক ১১ পয়েন্ট পেয়ে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ তৃতীয়, ৬৫ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট পেয়ে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ চতুর্থ এবং ৬৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট পেয়ে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে।
এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ ঢাকা কমার্স কলেজ এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা মহিলা কলেজ লালমাটিয়া মহিলা কলেজ।
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘কলেজ পারফরমেন্স র্যাংকিং-২০১৭’ অ্যাওয়ার্ড ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে সেরা কলেজসমুহের নাম ঘোষণা করা হয়। এসব কলেজকে অ্যাওয়ার্ড, সনদ ও চেক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আগে বলা হতো এটা মালটানা রেলগাড়ির মতো। কিন্তু এখন এটি সম্পর্কে বলা হয় দ্রুতগামী আন্তনগর ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির এই যে অগ্রযাত্রা সেটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখ। এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আগে অনেক নেতিবাচক তথ্য আমরা জানতাম। কিন্তু বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় আজকে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিষয়ে মৌলিক বই রচনা করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে নোট-গাইডের বেশ প্রাধান্য। সেটি আমাদের রোধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজট নির্মূল করা, ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই সেশনজট দূর করা হয়েছে। বর্তমানে একাডেমি ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেখানে সারা বছরের ভর্তি, পরীক্ষা, ফল প্রকাশসহ একাডেমিক সকল কার্যক্রমের অগ্রিম দিন-তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে।