চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন বালুছরা এলাকায় এক নারী পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করছিল শ্রমিকেরা। পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জের তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রথম আলোর আলোকচিত্রী সাংবাদিক জুয়েল শীল।
তিনি অভিযোগ করেন, জোর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে লাঠিচার্জের ছবি মুছে দেয় পুলিশ। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর বায়েজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জুয়েল শীল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিক্ষোভরত শ্রমিকদের পুলিশ যখন লাঠিচার্জ করছিল তখন আমি ছবি তুলছিলাম। বায়েজিদ থানার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক শরিফুলের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। পরে ক্যামেরায় থাকা সব ছবি ডিলিট করে ক্যামরাটি ফেরত দেন।
এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমি ডিসি নর্থকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা করে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করছি উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য জুয়েল শীলকে পুলিশের এএসআই শরিফুলের নেতৃত্বে লাঞ্ছিত করার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রব পৃথক বিবৃতিতে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।