মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইউরোভুক্ত হওয়ার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে বুলগেরিয়া-ক্রোয়েশিয়ার

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২০, ০১:০৯ পিএম

ইউরো মুদ্রাভুক্ত হওয়ার দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে বুলগেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার। দেশ দুটিকে এই মুদ্রা চালুর চূড়ান্ত ধাপ ‘এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজম- ‘ইআরএম ২’ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি)।

ইউরো জোনের অর্থমন্ত্রীরা ও ইসিবি’র কর্মকর্তারা শুক্রবার এই অনুমোদন দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। এর ফলে পূর্ব ইউরোপের দেশ দুটি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে ইসিবি’র তত্ত্বাবধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

কার্যকরীভাবে ইউরো মুদ্রা চালু করার আগে দেশ দুটিকে ইআরএম-২ এর আওতায় অবশ্যই কমপক্ষে দুই বছর থাকতে হবে। কার্যক্রম সন্তোষজনক না হলে এই প্রক্রিয়ায় আরও এক বছর বেশি সময়ও থাকতে হতে পারে। দুই বছর থাকলে ২০২৩ সালের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোভুক্ত হবে দেশ দুটি।

ইআরএম-২ আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশন বিবৃতিতে বলেছে, “এই সিদ্ধান্ত বুলগেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার ইউরো জোনভুক্ত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক।”

ইউরোভুক্ত হওয়াটা বুলগেরিয়ার জন্য হবে অনেক সুবিধার। ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়া দেশটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে কম গড় আয়ের দেশ। এ ছাড়া সেখানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দারিদ্র্য নিত্য বিষয়।

সুবিধা পাবে ২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়া ক্রোয়েশিয়াও। ১৯৯০ এর দশকে সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভেঙে আলাদা হওয়া দেশটিতের অর্থনৈতিক ভিত খুব একটা মজবুত নয়।

ক্রোয়েশিয়ার অনেক নাগরিক এরই মধ্যে ইউরো মুদ্রা জমানো শুরু করেছে। দেশটি পাসপোর্টহীন শেনজেন অঞ্চলের সদস্যপদ পেতেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইআরএম-২ পর্বের সময়টায় বুলগেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়াকে নিজেদের শক্ত অর্থনৈতিক নীতিগুলো তুলে ধরতে হবে, সদস্যপদ পাওয়ার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে এবং মুদ্রাবিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত