গোপালগঞ্জ জেলার ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের লস্করডাঙ্গায় বছরের ১১ মাস পানিবন্দী থাকে ৩শ বিঘা ফসলি জমি। এতে ২’শ কৃষকের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
জলাবদ্ধতায় কৃষকের উৎপাদিত ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই সারা বছরই তাদের অর্থাভাবে কাটছে । এসব জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালে খালে স্লুইচগেট গেট নির্মিত হলে কৃষকের ফসল রক্ষা পাবে। সেই সঙ্গে সারা বছর বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে তারা সুদিন ফেরাতে পারবে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লস্করডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হারেস ফকির, মিরাজ লস্কর, বেলায়েত হোসেন, হাসান গাজীসহ আরও অনেকে বলেন, লস্করডাঙ্গায় প্রায় ১ হাজার বিঘা আছে। এর মধ্যে ৩শ বিঘা জমি ১১ মাস জলাবদ্ধ থাকে।
জোয়ারের পানি ও লবণ পানি ওঠে এসব জমিতে। ধান কাটার সময় কোমর সমান পানি থাকে। তখন আমাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। আমরা মাঝে মাঝে মাটি দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করি। কিন্তু জোয়ারের চাপে সে বাঁধ ভেঙে যায়। বছরের ১০ থেকে ১১ মাস পানিবন্দী হয়ে থাকে ৩শ বিঘা জমি। লস্কর ডাঙ্গার পাশ প্রবাহিত খালের সঙ্গে বর্নি বাওড়ের সংযোগ রয়েছে। এ কারণে শীত মৌসুমে জোয়ারের পানি জমিতে চলে আসে।
এ ছাড়া মার্চ-এপ্রিলের দিকে লবণ পানি জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট হয়। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই এ খালে একটি স্লুইচ গেট করে দিলে আমাদের এ সমস্যা নিরসন হবে। ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে আমরা ভালো থাকতে পারবো।
কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন গাজী বলেন, একটি স্লুইচ গেটের অভাবে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। প্রতি বছর অন্তত ১ হাজার মন ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়। এতে কৃষকের অভাব অনটন লেগেই রয়েছে। এখানে একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করে জোয়ার ও লবণ পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
তাই কৃষকদের রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে স্লুইচ গেট নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। এতে দেশ ও ইউনিয়নের কৃষকেরা লাভবান হবে। তখন একটি স্লুইচগেট হয়ে উঠবে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জাদুর কাঠি।
টুঙ্গিপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী স্লুইচ গেট চাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে স্লুইচ গেট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করবো। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে আমি এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।