সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

পাঞ্জাবকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল রাজস্থান

আপডেট : ২০ মে ২০২৩, ০১:০০ এএম

ম্যাচটি ছিল অলিখিত ফাইনাল। দুই দলের জন্যই ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। টিকে থাকার সংগ্রাম করেছিল দুই দলই। তবে শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসের চেষ্টা বিফলে গেছে। তাদেরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এখনও আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস।

শুক্রবার আগে ব্যাট করে ১৮৭-৫ তুলেছিল পাঞ্জাব। জবাবে রাজস্থান তোলে ১৮৯-৬।

শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। জস বাটলারের খারাপ ছন্দ অব্যাহত। চারটি বল খেলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরলেন। শুরুতেই রাজস্থানের উইকেট চলে যাওয়ায় সাঞ্জু স্যামসন তিনে নামেননি। পাঠিয়ে দেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে।

রাজস্থানের ইনিংসে দুই তরুণ ক্রিকেটার এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এক দিকে পাড়িক্কল আগ্রাসী ক্রিকেট খেললে, উল্টো দিকে চালিয়ে খেলছিলেন যশস্বী জয়সওয়ালও। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি তৈরি করে ফেলেন। পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৫১ করে ফিরে যান পাড়িক্কল।

সাঞ্জু চারে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ২ রান করে রাহুল চাহারের বলে ফিরে যান। রিয়ান পরাগকে এ দিন দলে নিয়েছিল রাজস্থান। যশস্বী আউট হওয়ার পর তাকে নামানো হয়। খেলছিলেনও চালিয়েই। কিন্তু অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে বিদায় নিলেন। হেটমেয়ার লড়লেন অনেকটাই। কিন্তু তাকে আর একটু আগে নামানো হলে হয়তো আরও দ্রুত ম্যাচটা জিতত রাজস্থান।

এ দিকে, আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয় হয় পাঞ্জাবের। এক সময় মনে হয়েছিল কম রানেই মুড়িয়ে যাবে পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস। তা হলে দিলেন না আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার স্যাম কারেন এবং জিতেশ শর্মা। কারেনের অপরাজিত ৪৯ এবং জিতেশের ৪৪ রানের জেরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৮৭-৫ তোলে পাঞ্জাব।

পাঞ্জাবকে হারিয়ে আইপিএলে প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকল রাজস্থান। কিন্তু তাদের আশা খুবই ক্ষীণ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার রান তাড়া করতে না পারায় তারা চতুর্থ স্থানে থাকা আরসিবিকে টপকাতে পারল না। পাঁচে এল। শেষ ম্যাচে আরসিবিকে হারতে হবে বড় ব্যবধানে। তবেই থাকবে রাজস্থানের আশা। এদিকে দৌড়ে রয়েছে কলকাতাও। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত