আগের তিন বলে মোহিত শর্মাকে বেধম পিটিয়েছেন আম্বাতি রাইডু। ছক্কা-চার-ছক্কা হজমে মোহিতের বুকের রক্ত পানি হয়ে আসার কথা। তবে চতুর্থ বলেই মোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস তখন বাধভাঙা। মাঠে যে নামছিলেন তখন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হয়তো বা শেষবারের মতো। কিন্তু প্রথম বলেই তিনি এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড মিলারের হাতে তুলে দিলেন ক্যাচ। যেভাবে দিয়েছিলেন প্রথম কোয়ালিফায়ারে। গ্যালারিতে ফের ভর করে নীরবতা।
সেই নীরবতা ভাঙে শেষ বলে। মোহিত শর্মাকে চার মেরে চেন্নাইকে পঞ্চম শিরোপার স্বাদ দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। রোমঞ্চ ছড়িয়ে পাঁচ উইকেটের জয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে স্পর্শ করে ধোনির চেন্নাই। তাতেই স্বপ্ন ভাঙে গুজরাট টাইটানসের। নিজেদের প্রথম দুই আসরেই ফাইনালে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা আর গড়া হলো না তাদের।
শেষ ২ বলে জিততে দরকার ছিল ১০ রান। মোহিত শর্মা তার আগের চারটি বলে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা গুজরাট টাইটানস। কিন্তু শেষ ২ বলে বদলে যায় খেলার ছবি। পঞ্চম বলে ছক্কা মারলেন রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ বলে চার মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন তিনি। তাতে পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ফাইনালে ২১৫ রানের চাপ যথেষ্ট বেশি। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস দেখাল, লক্ষ্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বৃষ্টির দাপটে প্রায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকলেও ছন্দ নষ্ট হয়নি চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের। ২০ ওভারের খেলা কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে। লক্ষ্য কমে হয় ১৭১। সেই লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই।
চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ডেভন কনওয়ে। এছাড়া ৩২ রান করেন শিভাম দুবে। গুজরাটের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন মোহিত শর্মা। দুই উইকেট পেয়েছেন মোহিত শর্মা।
এর আগে টসে হারলেও হার্দিক জানিয়েছিলেন, তার মন বলছিল প্রথমে ব্যাট করা উচিত। দেখা গেল, খুব একটা খারাপ ভাবেননি তিনি। ঘরের মাঠে দাপুটে ব্যাট করলেন গুজরাটের ব্যাটাররা। শুরুতে দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল এবং তার পরে সাই সুদর্শন চেন্নাইয়ের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন।
ঋদ্ধিমান সাহা ৫৪ করে ফিরেছেন। সুদর্শন করেছেন ৯৬ রান। মাত্র বল খেলে ৮ চার ৬ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। শুভমন গিল এদিন ফিরে যান ৩৯ রান করেই।