আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক এস ডি রুবেল। ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন তিনি। ক্ষমতাসীন দল থেকে এ গায়কের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরই আলোচনায় উঠে এসেছে পুরনো বিষয়―একসময় বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়াবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে যদিও এর আগেও বিতর্ক হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গায়ক এস ডি রুবেল।
‘লাল বেনারশি’ খ্যাত এ গায়ক রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্য হই, তখনও একটি পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে খবর হয়েছিল। যা ছিল রাজনৈতিক মিথ্যাচার।
এস ডি রুবেল বলেন, ওই সময় উপকমিটিতে আমার নাম আসার পর সংবাদে বলা হয়, উপকমিটির এই সদস্যপদ নিয়ে আওয়ামী লীগের যারা পদ-পদবী পায়নি ও বঞ্চিত, তাদের ক্ষোভ রয়েছে। তখন আমাকে নিয়ে একটা ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়। বলা হয় আমি জাসাসের সদস্য ছিলাম। আমি এখন আবারও বলছি, আমি বিএনপি বা জাসাসের রাজনীতির সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলাম না। তবে এটা সত্য যে পেশাগতভাবে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ গায়ক বলেন, আমি কখনো রাজনৈতিকভাবে কোনোদিন বিএনপি বা জাসাসের রাজনীতি করিনি। হয়তো কিছু মানুষ আমার নাম ব্যবহার করে তাদের প্রভাব খাটানোর জন্য আমার অবর্তমানে খালেদা জিয়ার কাছে আমার নাম প্রস্তাব করতে পারে। তবে আমি কখনো জেনেশুনে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি, কোনো মিটিংয়ে যাইনি। আমি কখনো কোনো কমিটিতে ছিলাম না।
জানালেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য গান করেছি।
সংগীতে এসডি রুবেলের অভিষেক নব্বই দশকে। প্রথম একক অ্যালবাম ‘অশ্রু’। তার গাওয়া বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লাল বেনারশি’, ‘অনেক বেদনা ভরা আমার এ জীবন’সহ কিছু গান।
এ গায়ক সংগীতের পাশাপাশি একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। এর আগে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।