বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, রোজার মাসেও দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবারে হাহাকার। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে। অপুষ্টিতে ভুগছে কয়েক কোটি মানুষ।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই প্রতিনিধিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিঙ্গার বাংলাদেশের নতুন যুগে পদার্পন, ‘উন্নতির লক্ষ্যে রূপান্তর’তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন আর এক সরকার। ব্যবসায়ীরা সরকারের কোনো ব্যবস্থাকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। সরকারকে সমর্থনের বিনিময়ে তাদের সিন্ডিকেটসমূহ জনগণকে জিম্মি করে যা খুশী তাই করছে। সরকার ও বৃহৎ সিন্ডিকেটের অশুভ আঁতাতের কারণে বাজারে নৈরাজ্য চলছে।
তিনি এই দুর্মূল্যের বাজারে বিপর্যয় রোধে ২৫ রোজার মধ্যে গরীব শ্রমজীবী পরিবারসমুহকে ন্যুনতম পাঁচ হাজার টাকা নগদ প্রদানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে প্রতিমাসে এই পরিবারগুলোকে মহার্ঘ ভাতা হিসেবে ন্যুনতম দুই হাজার করে টাকা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
তিনি রিকশা শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব রিকশা আধুনিকায়নের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি রিকশা শ্রমিকদের উপযুক্ত বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, প্রয়োজনীয় রিকশা গ্যারেজের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
‘কর্মফল ভোগ করছেন কেজরিওয়াল’রিকশা শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক কবি জামাল সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, আকবর খান,আবুল কালাম, মোহাম্মদ আহসান বেলাল, সোহেল রানা,রেজাউল ইসলাম, ইতি আকতার, রিপন মিয়া, ফরহাদুজ্জামান, আল আমিন, আনিসুল ইসলাম, রেজাউল করিম রেজা, শিমুল হোসেন, মোহাম্মদ হৃদয়, মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।
