বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা নিজেদের কম দামের দুষ্টচক্রের ফাঁদে ফেলেছি। ভালো চাকরি এবং আরএমজি সেক্টরে আপস্কিলিং এবং রিস্কিলিং উদ্যোগের উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি রয়েছে। একই ধরনের সেমিনার, আলোচনার অনেক আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ নীতি পরিবর্তন করছে না।
আজ বৃহস্পতিবার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইন অডিটোরিয়ামে দক্ষিণ এশিয়ায় কি কর্মসংস্থানহীন উন্নয়ন হচ্ছে? শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্নতার কথা তুলে ধরে এসটিইএম শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
ডা. রুবানা হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে যদি আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করি।
অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি খুব বেশি উৎসাহজনক নয়, যদিও সরকারি খাতের বিনিয়োগ একটি বড় ভূমিকা পালন করে যা উদ্বেগের কারণ। শ্রমশক্তিতে নারী ও পুরুষ উভইয়েরই কর্মসংস্থান অনুপাত কমেছে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করেন তিনি। বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের জন্য আসন্ন বাজেটে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তিনি বর্তমান শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নীতি সংস্কারের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও ভালো সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের জন্য সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা এবং দক্ষ কর সংগ্রহ প্রক্রিয়ার ওপর জোর দেন।