সরকারের ছত্রছায়ায় থাকা লোকেরা একদিকে ব্যাংক লোপাট করছে, টাকা পাচার করছে, অন্যদিকে বিরোধীদের ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
সালাম বলেন, সরকারি ছায়াতলের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের সম্পদের এখন আর কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকার তাদের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জোন-৪ এর অন্তর্গত ধানমন্ডি-কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম আরও বলেন, সরকার ‘লুটপাটের স্বার্থে’ পুরো বাংলাদেশকে ‘তালুকদারিতে’ পরিণত করেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পুরো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীদের প্রতিনিয়ত দমনপীড়নে ব্যবহার করছে এবং লুটপাটের জন্য ব্যবসায়িক একটি গোষ্ঠীকে সরকার অধিকাংশ ব্যাংকগুলোকে ‘বরাদ্দ দিয়েছে’।
মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হলেও নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পারছে না। ঋণের নামে যারা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে মেরে দিয়েছে, তারা সরকারের লোক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ নামে ড. ইউনূসের যত প্রতিষ্ঠান আছে, সব দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ীকে আজ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কোর্টের বারান্দায় দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে রাখা হচ্ছে, এই হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। সরকারের পক্ষে থাকলে সবকিছু জায়েজ হয়ে যায় আর বিপক্ষে গেলে সকলের ওপর নেমে আসে অবর্ণনীয় নির্যাতন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পারলেও সাধারণ কৃষককে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। সরকারি ছায়াতলের বাইরে যারা আছেন, তাদের জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্ব সাইদুর রহমান মিন্টু, খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, অ্যাড. মকবুল হোসেন, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ নিউমার্কেট, কলাবাগান ও ধানমন্ডি থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।