বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

‘মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কনস্টেবল কাওসার’

আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ০৯:২০ এএম

রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসে সহকর্মীকে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা কাওসার আলী মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি তাঁর স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের। 

কাওসার আলীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি গতকাল ছেলের এই ভয়ংকর অপরাধের কথা জানতে পারেন বলে কাওসারের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, শনিবার রাত ৩টার দিকে স্বামীর হাতে তার সহকর্মী খুনের বিষয়টি জানান আমজাদ হোসেন নামের পুলিশের এক কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিভাবে শ্বশুর কিছু জানাননি। তার বয়স ৮০ বছর। ছেলের এ ঘটনা জানলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। শাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে জানিয়েছেন নিলুফা। কাওসারের দুই সন্তান আছে। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ পান।

নিলুফা বলেন, ‘কাওসারের মানসিক সমস্যা ছিল। রাঙ্গামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে। কিছুদিন ধরে কাওসার খুবই কম কথা বলতেন।’

প্রসঙ্গত, মো. কাওসার আলীর সঙ্গে বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে রাত ১১টায় ডিউটিরত ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাওসার উত্তেজিত হয়ে মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় পথচারী মো. সাজ্জাদ হোসেনের হাতে একটি ও পেটে দুটি গুলি লাগে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত