টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিনের ঘুমকাণ্ড এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল। সংবাদটিকে 'অসত্য' দাবি করে দেশের দুটি গণমাধ্যমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ের আগেরদিন নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যম বেনামী সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ঘুমিয়ে ছিলেন তাসকিন। আর এই কারণেই তাকে রেখে টিম চলে যায় স্টেডিয়ামে। ওই সংবাদে আরও জানানো হয়, ম্যাচে টসের পর মাঠে পৌঁছান তাসকিন। কিন্তু ততক্ষণে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে একাদশ থেকে বাদ দেয়া হয় সহ-অধিনায়ককে।
গণমাধ্যমে এই বিষয়টি আসার পর থেকেই চারদিক থেকে আলোচনা-সমালোচনা আসতে শুরু করে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানান এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দেন।
কিন্তু তাসকিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করেন, সংবাদটি অতিরঞ্জিত এবং অসত্য। তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন স্বীকার করলেও টসের আগেই মাঠে এসেছিলেন বলে দাবি করেন। বিষয়টা যখন প্রায় সমাধানের দিকেই যাচ্ছিল, তখন বোমা ফাটায় একটি দৈনিক পত্রিকা। সেখানে দাবি করা হয়, ম্যাচের আগের রাতে বিশেষ পানীয় পান করার কারণেই ম্যাচের দিন সময়মতো টিম বাস ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাসকিন। এরপরই আবারও নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট পাড়া। আরও এক দফা সমালোচনা সইতে হয় তাসকিনকে।
প্রথমবারের মতো এই বিষয়টিও অস্বীকার করে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন টাইগার তাসকিন। প্রতিবেদকের নাম উল্লেখ করেই দাবি করেন, মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে এই ধরণের সংবাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাসকিন।
অবশেষে নিজের সেই কথাই রাখলেন তাসকিন। উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন একটি পত্রিকা এবং একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। তাসকিনের পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জোবায়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে তাসকিনের পক্ষ থেকে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধেও অসত্য খবর প্রচার করেছিল এই একই গণমাধ্যম। সেসময়ও তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মুশি। পরে মুশফিকের সঙ্গে সমঝোতা করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়েছিল।